মাছের ডিমে রূপচর্চা!
মাছের ডিম দিয়ে রূপচর্চা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কারদাশিয়ান ও হলিউডের তারকাদের মধ্যে। এটিকে ক্যাভিয়ার ফেশিয়াল বলা হয়। যার খরচ প্রায় ৮০ হাজার টাকা!
আমেরিকার জনপ্রিয় এই ফেশিয়ালের কথা শুনে চোখ কপালে তোলেন সে দেশের সাধারণ মানুষেরাও। নিউ ইয়র্কে সবচেয়ে কম যারা আয় করেন, তাদের সাপ্তাহিক আয় মোটামুটি ৬০০ ডলার। আর এই ফেশিয়াল একবার করানোর খরচই ১০০০ ডলারের বেশি।
এই ফেশিয়ালের দাম আকাশ ছোঁয়া হওয়ার কারণ হলো- এতে ব্যবহার হয় ক্যাভিয়ারের ডিএনএ। বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবারের মধ্যে অন্যতম ক্যাভিয়ার।
অস্কারের সন্ধ্যা কিংবা অন্য কোনও বিশেষ অনুষ্ঠানের আগে হলিউডের তারকারা দৌড়ান ক্যাভিয়ার ফেশিয়াল করাতে। কিম কারদাশিয়ানের বোন ক্লোয়ি ও কোর্টনি কারদাশিয়ান অবশ্য মাসে দুই থেকে তিন বার এই ফেশিয়াল করিয়ে থাকেন চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখার জন্য। ক্যাভিয়ারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।
কেন এত জনপ্রিয় ক্যাভিয়ার ফেশিয়াল?
ক্যাভিয়ারের প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য ম্যাজিকের মতো কাজ করে। ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়ে ত্বক আরও তুলতুলে করে তোলে। নিয়মিত ব্যবহারে দাগ-ছোপ দূর হয়।
দুই থেকে তিন সপ্তাহ অন্তর করানোই নিয়ম। তবে দূষণ, মানসিক চাপ কিংবা হবু মায়েদের যদি ত্বক খুব বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়, তা হলে প্রত্যেক সপ্তাহে করানোর উপদেশ দেন বিশেষজ্ঞরা।
কীভাবে করানো হয় ফেশিয়াল?
নানাভাবে ত্বক পরিষ্কার করার পর চার-পাঁচ রকম মাস্ক ব্যবহার করা হয়। কোলাজের মাস্কও থাকে তার মধ্যে। এক ধরনের এনজাইম পিলও ব্যবহার হয়। এক ঘণ্টা ধরে হায়ড্রা ফেশিয়াল করানো হয়। তার পর থাকে এলইডি লাইট দিয়ে ট্রিটমেন্ট। বিলাসবহুল ফরাসি ব্র্যান্ডের নানা রকম ক্রিম-ময়শ্চারাইজার ও অন্যান্য পণ্য ব্যবহার করা হয় এতে। সঙ্গে থাকে চার রকম মাসাজ। তার মধ্যে অন্যতম জাপানের ৫৪০ বছর পুরনো কোবিডো পদ্ধতি। যা নিয়মিত করলে নাকি মুখের পেশি গঠন মনের মতো করে ফেলা যায়।
এই ফেশিয়াল করতে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা লাগে
কোথায় হয়?
নিউ ইয়র্ক, প্যারিস, লাস ভেগাস, লাগুনা বিচসহ অনেক শহরেই বিশেষ স্পা রিসোর্টে এই ধরনের ফেশিয়াল করানো হয়।
টিটি/