সকালে উঠে সামনে নয়, পিছন দিকে হাঁটুন! উপকার জানলে অবাক হবেন
ছবি: সংগৃহীত
সুস্থতার জন্য সব সময়ই হাঁটার কথা বলা হয়। প্রায় সবাই সোজা পথে সামনের দিকেই হাঁটেন সব সময়। তবে জানেন কি, ফিটনেস রুটিনের বাইরে কিছু করলে তার প্রভাব কিন্তু অনেক দ্রুত পড়ে? যেমন মানসিক ও শারীরিক ফিটনেসের জন্য পেছনের দিকে হাঁটার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোজা হাঁটার থেকেও উল্টো হাঁটলে মেলে বেশি ভালো ফল। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। পোশাকি ভাষায় একে বলে ‘রেট্রো ওয়াকিং’।
১। আমরা সামনে হাঁটতে অভ্যস্ত, পিছনে নয়। পিছনে হাঁটলে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। কিন্তু ঠিক করে হাঁটতে পারলে শরীরের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
২। পিছনে হাঁটলে পায়ের সঞ্চালন অন্যভাবে হয়। ফলে পায়ের পেশির জোর বাড়ে। তাতে পেশি মজবুত হয়।
৩। পিছনে হাঁটতে গেলে মস্তিষ্কের সঙ্গে সমন্বয় দরকার। ফলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা আরও বাড়ে।
৪। বয়স বাড়লে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান। তবে ধীরে ধীরে উল্টো হাঁটার অভ্যাস করলে এই সমস্যা আস্তে আস্তে কমতে পারে।
৫। পিছনের দিকে হাঁটলে শক্তি ক্ষয় বেশি হয়। উল্টো হাঁটলে ভারসাম্য রক্ষা শক্ত। ফলে একাধিক পেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। ওজন ঝরাতে চাইলেও এই অভ্যাস করতে পারেন।
৬। অস্থিসন্ধিতে অনেকের ব্যথা ও সমস্যা থাকে। উল্টোদিকে হাঁটলে হাঁটু বা অস্থিসন্ধিতে তুলনায় কম চাপ পড়ে।
প্রতিদিন সকালে বা বিকেলে আধাঘণ্টা পেছন দিকে হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রথম প্রথম হাঁটতে একটু অসুবিধা হবে তারপর অভ্যাস হয়ে গেলে ধীরে ধীরে স্পিড বাড়াবেন। অবশ্যই নিরাপদ রাস্তায় হাঁটবেন, কোনো ব্যস্ত সড়কে কখনোই এটা করতে যাবেন না।