দীর্ঘায়ু পেতে চাইলে মানতে হবে যে ৫টি নিয়ম
ছবি: সংগৃহীত
পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই দীর্ঘায়ু পেতে চান। কিন্তু শুধু দীর্ঘায়ু পেলেই হবে না, দীর্ঘ দিন সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকাটও জরুরি। আসলে আমাদের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার ভুলভ্রান্তির দরুন মূলত দীর্ঘায়ু পাওয়া সম্ভব হয় না। আর সেই কারণেই বিশেষজ্ঞরা আমাদের লাইফস্টাইল বদলে ফেলার পরামর্শ দেন। তাতেই বদলে যাবে শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল। দূরে থাকবে একাধিক জটিল অসুখ।
এবার আপনি জিজ্ঞেস করতেই পারেন, জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসে ঠিক কোন কোন বদল আনলে অনায়াসে ৮০-৯০-এর গণ্ডি পার করে ফেলা সম্ভব হবে? দীর্ঘ দিন সুস্থ ভাবে বাঁচার জন্য কোন কোন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, জীবনধারায় কোন কোন পরিবর্তন আনা প্রয়োজন জেনে নিন।
বাইরের খাবার বন্ধ:
আজকাল আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই বাইরের তেল, মশলা সমৃদ্ধ খাবার খেতে ভালোবাসেন। আর এসব ফাস্টফুড খাওয়ার দরুন তাদের শরীরের বেজে যায় বারোটা। পিছু নেয় ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, কোলেস্টেরল থেকে শুরু করে একাধিক জটিল অসুখ। তাই চেষ্টা করুন বাইরের ফাস্টফুড এড়িয়ে চলার। এমনকি বাড়িতেও তেল, মশলা সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া চলবে না। তার বদলে হালকা করে রাঁধা পদে রাখুন ভরসা। এই সামান্য নিয়ম মেনে চললেই উপকার পাবেন।
ফল, শাক, সবজির শরণাপন্ন হন:
আমাদের পরিচিত সব ফল, শাক ও সবজিতেই রয়েছে ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার। যেই কারণে এসব উদ্ভিজ্জ খাবার খেলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি অনেকটাই দূর হয়ে যায়। সেই সঙ্গে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। শুধু তাই নয়, শাক, সবজি, ফলে মজুত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণে কমে প্রদাহের দাপট। যার দরুন শরীরে সিঁধ কাটতে পারে না একাধিক জটিল অসুখ। তাই আর সময় নষ্ট না করে রোজের ডায়েটে এসব খাবারকে অবশ্যই জায়গা করে দিন। তাতেই সুস্থ থাকার পথে এগিয়ে যাবেন।
ব্যায়াম করতেই হবে:
মনে রাখবেন, অলস জীবন রোগের বাসা। তাই আর শুয়ে বসে দিন কাটানোর ভুল করবেন না। তার বদলে একটু অ্যাক্টিভ জীবন কাটান। এক্ষেত্রে দিনে মোটামুটি ৩০ মিনিট ব্যায়াম হলো মাস্ট। এই সময়টা আপনি জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে পারেন। কিংবা বাড়িতেই করতে পারেন ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ বা যোগা। তবে ব্যায়ামে অনীহা থাকলে এই সময়টুকু হাঁটুন, সাইকেল চালান বা সাঁতার কাটুন। ব্যস, তাহলেই একাধিক জটিল অসুখ কাছে ঘেঁষার সুযোগ পাবে না।
দুশ্চিন্তা করা যাবে না:
এই ব্যস্ততাময় জীবনে চিন্তা থাকা স্বাভাবিক। তবে চিন্তাকে কখনওই দুশ্চিন্তায় পরিণত করা চলবে না। এই ভুলটা করলে আদতে সমস্যা বাড়বে। পিছু নিতে পারে ডায়াবেটিস, প্রেশারের মতো অসুখ। তাই সবার প্রথমে দুশ্চিন্তা কমানোর চেষ্টা করতে হবে। আর এই কাজে সাফল্য পেতে চাইলে রোজ করুন প্রাণায়াম, যোগা এবং মাইন্ডফুলনেস। এর পাশাপাশি প্রতিদিন ৭ ঘণ্টা শান্তির ঘুম মাস্ট। এই সামান্য কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই অনায়াসে দুশ্চিন্তাকে গুড বাই জানাতে পারবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি:
আজও আমাদের দেশের মুষ্টিমেয় মানুষ নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা করান না। আর এই কারণেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগ ঠিক সময়ে ধরা পড়ে না। যার ফলে বিপদ বাড়ে। তাই প্রতি বছর নিয়ম করে সুগার, কোলেস্টেরল, প্রেশার, থাইরয়েড, হার্টের পরীক্ষা করুন। আর এসব পরীক্ষার ফলাফলে কিছু এদিকওদিক দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তার কথামতো ওষুধ খান। ব্যস, তাহলেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।