স্বামীর প্রশংসা করার দিন আজ
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
বাবা দিবস, মা দিবস সহ বছরে কতশত দিবস আমাদের পালন করতে হয়। এসব দিবস কেন্দ্রিক আমাদের আবেগেরও কমতি থাকে না। এত দিবসের ভিড়ে স্বামীর প্রশংসা দিবস কী করে বাদ যায়!
‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে’- কথাটি যত সত্যই হোক না কেন, সুখের সংসারে স্বামীরও আছে যথেষ্ট অবদান। সে কথাটি স্মরণ করিয়ে দিতেই আজ পালিত হচ্ছে ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ বা স্বামীর প্রশংসা দিবস। যেসব স্ত্রী স্বামীর প্রশংসা করার সময়-সুযোগ পান না- আজ অন্তত স্বামীর প্রশংসা করুন।
স্বামীর সময় এবং কাজকে মূল্যায়ন করার ভাবনা থেকেই এই দিবসটি পালন করা হয়। স্বামীর কাজের মূল্যায়নের এই দিবস ঠিক কবে, কোথায় পালন শুরু হয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। সাধারণত প্রতি বছর এপ্রিল মাসের তৃতীয় শনিবার এটি পালিত হয়।
স্বামী প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য এ দিনটি পালিত হয়। স্বামীর প্রশংসার এই দিবসে সমাদর পেতে স্বামীর ভেতর বেশ কিছু গুণ থাকা জরুরি। যেমন: স্বামী অত্যন্ত পরিশ্রমী হবেন, তিনি একজন নিঃস্বার্থ প্রেমিক ও বন্ধু হবেন, স্ত্রীকে খুশি রাখতে পারবেন, হাসাতে পারবেন এবং স্ত্রীর স্বপ্ন পূরণে হবেন যথেষ্ট সহায়ক ও আন্তরিক। এই পর্যায়ে স্বামীদের বলছি, কতগুলো বিষয় আছে, যা স্ত্রীদের বিরক্তির উদ্রেক করে। সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
দিবসের ইতিহাস:
যদিও ‘স্বামী প্রশংসা’র দিবসের উৎস অস্পষ্ট। অনেকে বিশ্বাস করেন যে এই ছুটির সূচনা ফাদার্স ডে-এর প্রতিরূপ হিসেবে হয়েছিল। যা জুনের তৃতীয় রোববার পড়ে- যাতে কোনো সন্তানহীন স্বামীরাও স্বীকৃতি বোধ করতে পারে। ‘স্বামী সমাদর’ দিবস হলো যাই হোক না কেন সব স্বামীর প্রশংসা করার দিন।
যেভাবে স্বামীর প্রশংসা করতে পারেন:
স্বামীর প্রশংসা করতে পছন্দের কোনো উপহার দিতে পারেন। পছন্দের কোনো খাবার রান্না করে খাওয়াতে পারেন। স্বামীর সঙ্গে কোনো কারণে দূরত্ব তৈরি হয়ে থাকলে তা ঘোচাতে খোলাখুলি কথা বলতে পারেন। সংসারে তার উপস্থিতি কতটা প্রয়োজনীয় তা বলতে পারেন এ দিনটিতে। এ ছাড়া খুব সহজ একটি উপায় হলো, তাকে প্রশংসা করে কিছু লিখে উপহার দিন। দেখবেন এটুকুতেই আপনার সঙ্গী অনেক খুশি হয়ে যাবেন। তথ্যসূত্র: ডেজ অব দ্য ইয়ার