বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

টনসিল অপারেশন কখন এবং কেন করবেন?

ছবি সংগৃহিত

টনসিল হলো আমাদের শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি অংশ। যা আমাদের মুখের ভেতরে চারটি গ্রুপে অবস্থান করে। এগুলো হলো-লিঙ্গুয়াল, প্যালাটাইন, টিউবাল ও অ্যাডেনয়েড। এই টনসিলগুলোর কোনো একটির প্রদাহ হলেই তাকে বলে টনসিলাইটিস। অনেকেই টনসিলাইটিসের সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে শীতকালে এটি নিয়ে বেশ ভুগতে হয়। শিশুদের এটি অন্যতম ও সাধারণ একটি সমস্যা। যা বছরে বারবারও হতে পারে।

আমাদের গলার ভেতর দিকের দুই পাশের দুটি গ্রন্থির নাম টনসিল। এই গ্রন্থি আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেমের অংশ, যা প্রয়োজনে অ্যান্টিবডি তৈরি করে প্রাথমিক রোগপ্রতিরোধে সাহায্য করে। আর টনসিলাইটিস মানে হলো টনসিলের প্রদাহ।

সাধারণত কম বয়সী শিশুরা ভাইরাসজনিত কারণে (যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দ্বারা) টনসিলাইটিসে আক্রান্ত হয়। শীতের দিনে মৌসুমি ফ্লু হওয়ায় টনসিলাইটিসের প্রকোপ বাড়ে। এছাড়া ‘গ্রুপ এ বিটা-হেমলাইটিক স্ট্রেপটোকক্কাস’ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুর টনসিলাইটিস হতে পারে।

টনসিলাইটিস দুই ধরনের হয়

১। একিউট টনসিলাইটিস: হঠাৎ করে একদিন হতে পারে। ৫ থেকে ৭ দিন পর চলে যায়।

২। ক্রনিক টনসিলাইটিস: এটা ঘনঘন হয়। কিছুদিন পরপরই সংক্রমণ হবে, ব্যথা হবে।

কখনও কখনও টনসিলের চারিপাশে ফোঁড়া হতে পারে, যেটাকে বলা হয় Peritonsillar Abscess. এ ক্ষেত্রে তৎক্ষনাৎ লোকাল এনেস্থিসিয়ার মাধ্যমে পূঁজ বের করে দিতে হয় এবং পরবর্তীতে এক থেকে দেড় মাস পর টনসিল অপারেশন করে ফেলে দিতে হয়।

রোগের লক্ষণঃ

১। গলাব্যথা, তীব্র বা মাঝারি ধরনের

২। মাথাব্যথা, জ্বর

৩। খাবার খেতে কষ্ট ও মুখ হাঁ করতে অসুবিধা হয়।

৪। কানেও ব্যথা হতে পারে।

৫। মুখ দিয়ে লালা বের হয় ও কণ্ঠস্বর ভারী হয়ে যেতে পারে।মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে পারে।

৬। স্বরভঙ্গ, গলায় ঘাসহ টনসিল স্ফীতি, ঢোঁক গিলতে কষ্ট হয়, গলা ফুলে যাওয়া।

কারণঃ

টনসিল ইনফেকশন বেশীরভাগ ক্ষেত্রে কিছু ভাইরাস সংক্রমণের কারনে হয়ে থাকে।

প্রাথমিকভাবে ভাইরাস সংক্রমণের সাথে সাথে কিছু ব্যাকটেরিয়া পরবর্তীতে টনসিলের ইনফেকশন বাড়িয়ে তুলতে পারে। পুষ্টির অভাব বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, আইসক্রিম, ফ্রিজে রাখা শীতল পানি বেশি পান করা, মুখ ঠিকমত পরিষ্কার না রাখা, ক্ষতিকর ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ টনসিলের ইনফেকশনের কারন হতে পারে। স্যাঁতসেঁতে বাসস্থান, ঠান্ডা আবহাওয়া, শীতের প্রকোপ বেশি হলে, গরমে ঘাম বসে গেলে টনসিলের প্রদাহ বেড়ে যেতে পারে।

টনসিল ইনফেকশন কাদের বেশী হয়?

১। সাধারণত ছোট বাচ্চাদের (৫-১৫ বছর) ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রমণ বেশী হয়।

২। বাচ্চারা খেলাধুলা করার সময় সহজেই জীবাণুর সংস্পর্শে চলে আসে।

৩। বেশী পরিমাণে ঠান্ডা খাবার ( আইসক্রিম, ফ্রীজের ঠান্ডা পানি ইত্যাদি) ও তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে টনসিল ইনফেকশন হতে দেখা যায়।

৪। নাক জ্যাম, নাকের মাংস বৃদ্ধি, এডিনয়েড বেড়ে গেলে মুখ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নেবার কারণে সহজেই ঘন ঘন টনসিল ইনফেকশন হতে পারে।

৫। নিয়মিত মুখ, দাঁত ও গলা পরিস্কার না রাখলে।

৬। কোন কারনে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে।

টনসিল ইনফেকশন হলে কি করবেন?

১। প্রচুর পরিমাণে কুসুম গরম পানি ও তরল খাবার খেতে হবে।

২। পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে যত দিন সুস্থ না হবে।

৩। মুখের হাইজিন (মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য) বা ওরাল হাইজিন ঠিক রাখতে হবে।

৪। বারবার কুলি বা মাউথ ওয়াশ (Viodin / Arodin Mouth wash 1%) করতে হবে।

৫। সাধারণ স্যালাইন বা লবণ মিশ্রিত গরম পানি দিয়ে বারবার কুলি করতে হবে।

৬। লেবু বা আদা চাও খেতে পারেন।

৭। গলায় ঠান্ডা লাগানো যাবে না।

যেহেতু তীব্র ব্যথা থাকে এবং জ্বর থাকে, সে ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন জাতীয় ওষুধ খেতে এবং পরবর্তীতে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হতে পারে।

নিয়মিত অসুধ খেলে, পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও নিয়ম মেনে চললে রোগী সাধারণত ১-২ সপ্তাহের মধ্যে পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে।

তবে অপর্যাপ্ত চিকিৎসা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে দীর্ঘ মেয়াদী ইনফেকশন বা ক্রনিক টনসিলাইটিস হতে পারে এবং কিছু অন্যান্য শারীরিক জটিলতা যেমন, কিডনি ও হার্টের বাল্বের সমস্যাও হতে পারে।

দীর্ঘমেয়াদি টনসিলাইটিসের চিকিৎসা সাধারণত অস্ত্রোপচার বা অপারেশন। যদি বারবার টনসিলাইটিস হয় বা এর জন্য অন্য কোনো জটিলতার সৃষ্টি হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে টনসিল ফেলে দেয়াই ভালো।

কখন টনসিলের অপারেশন করতে হয়!

১। দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রনিক টনসিলাইটিস

২। টনসিল বড় হয়ে শ্বাসনালি বন্ধ হয়ে গেলে এবং নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হলে।

৩। টনসিলে যদি ফোঁড়া বা পেরিটনসিলার এবসেস হয়।

৪। যদি বছরে তিন-চার বারের বেশি ইনফেকশন হয়।

৫। এসব কারণ ছাড়াও যদি দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রনিক ক্রিপটোকঙ্কাল ইনফেকশন হয়।

৬। স্টাইলয়েড প্রসেস অপারেশন এর সময়

কখন অপারেশন করা যাবে নাঃ

১। অ্যাকিউট ইনফেকশন থাকলে টনসিলে অস্ত্রোপচার করা যাবে না। কারণ, তখন ইনফেকশন সারা শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে এবং রক্তপাত বন্ধ না-ও হতে পারে।

২। জ্বর বা ব্যথা থাকা অবস্থায় করা যাবে না।

৩। যদি কারও রক্তরোগ থাকে, যেমন থ্যালাসেমিয়া।

রক্তনালি এবং রক্তরোগ থাকলে টনসিলে অপারেশন করা যাবে না। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে না এনে অপারেশন করা যাবে না।

 

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ গ্রহণের পর থেকে আতঙ্কে আছেন নথিপত্রহীন অবৈধ অভিবাসীরা। নথিপত্রহীন বাংলাদেশিরাও একইভাবে দুশ্চিন্তায়।

কারণ, ট্রাম্প শপথ গ্রহণের পর থেকে নথিপত্রহীন অভিবাসীদের ধারপাকড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। নিউইয়র্কের ব্রুকলিন বরোর ফুলটন এলাকা থেকে চার বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস ইনফোর্সমেন্ট (আইস)।

নিউইয়র্কে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা আইন কর্মকর্তা খাদিজা মুনতাহা রুবা বলেন, নিউইয়র্কের ব্রুকলিন বরোর ফুলটন এলাকা থেকে আড্ডা দেওয়া অবস্থায় নথিপত্রহীন চার বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে আইস। এ সময় তারা সাদাপোশাকে ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অ্যাটর্নি রাজু মহাজন বলেন, ট্রাম্পের বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশিরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। যারা ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ দক্ষিণ আমেরিকার পথ ধরে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে ঢুকতেন, সেই পথ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী এক বাংলাদেশি বলেন, ‘নিউইয়র্কের ফুলটন এলাকায় আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম। অতর্কিতে সাদাপোশাকে কয়েকজন কর্মকর্তা এসে আমাদের পরিচয়পত্র দেখাতে বলেন। একজন প্রতিবাদী হয়ে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম সংশোধনী অনুযায়ী তিনি তার পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য নন। তিনি এ কথা বলায় তাকে গ্রেফতার করে অন্যদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কিছুটা দূরে একই এলাকায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।’

তিনি বলেন, নির্বাহী আদেশ জারি করে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের একটি বিধানও বাতিল করেছেন ট্রাম্প। এতে এখন থেকে ৩০ দিন পর যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া অবৈধ অভিবাসীদের সন্তানেরা দেশটির নাগরিকত্ব পাবে না। এরই মধ্যে এই নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে ২৪টি রাজ্য ও শহরে মামলা হয়েছে। যেহেতু এটা মার্কিন সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনের বিরুদ্ধে যায়, সে কারণে হাইকোর্ট এটি বাতিল করে দিতে পারে।

Header Ad
Header Ad

ক্যালিফোর্নিয়ায় আবারও ভয়াবহ দাবানল    

ছবিঃ সংগৃহীত

এই ভালো, এই খারাপ, দাবানল যেনো ঘুর্ণিপাক! যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় আবারও দাবানল দেখা দিয়েছে ।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) অঙ্গরাজ্যটির ওয়েস্ট লাইলাক রোড থেকে শুরু হওয়া এই আগুন স্থানীয় সময় সকালে সান দিয়েগো কাউন্টিতে ছড়িয়ে পড়ে।

তীব্র বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অঞ্চলটির বিভিন্ন এলাকা।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৮৫ একর জায়গাজুড়ে আগুন জ্বলছে। দাবানলের কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এলাকাটির বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নিরাপদে সরে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এরইমধ্যে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ।

এর আগে, ১০ দিনের বেশি সময় ধরে দাবানলে পুড়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস। বাতাসের গতি ধীরে ধীরে কমতে থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপরই আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেন বাসিন্দারা। কিন্তু ধ্বংসাবশেষ ছাড়া আর কিছুই মেলেনি।

সেসময়, দাবানলে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ায় বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। কয়েকদিন ধরে নানা ধরনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করেন, যাদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশিরাও।

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড়ের মতো তীব্র গতির বাতাস ৭ জানুয়ারির দাবানলকে বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে দেয় বিভিন্ন এলাকায়। ধ্বংসাত্মক এই দাবানলে হতাহত হয়েছেন বহু মানুষ। পুড়ে গেছে ১২ হাজারের বেশি বাড়িঘর ও স্থাপনা। সব হারিয়ে গৃহহীন হয়েছেন অন্তত পৌনে এক লাখ বাসিন্দা। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় লস অ্যাঞ্জেলেসের বিস্তীর্ণ এলাকা।

Header Ad
Header Ad

চিটাগংকে উড়িয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিলো ঢাকা ক্যাপিটালস

চিটাগং কিংসকে হারিয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসের তৃতীয় জয় । ছবি: সংগৃহীত

এবারের বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালসের সপ্তম ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পায় ঢাকা ক্যাপিটালস। সবশেষ বুধবার (২২ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্বাগতিক চিটাগং কিংসে হারিয়ে তৃতীয় জয়ের দেখা পেলো শাকিব খানের দলটি।

টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে বন্দর নগরীর দলটি। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ঢাকা ক্যাপিটালস।

১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জয় পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি ঢাকা ক্যাপিটালসকে। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের হাফ-সেঞ্চুরিতে ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ঢাকা। তানজিদ অপরাজিত থাকেন ৫৪ বলে ৯০ রানে।

আরেক ওপেনার লিটন দাস অবশ্য শুরুটা একটু ধীর গতিতেই করেছিলেন। তবে উইকেটে থিতু হয়েও শেষ পর্যন্ত নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন তিনি। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ২৫ রান।

মুনিম শাহরিয়ারও উইকেটে থিতু হয়েছিলেন। তবে তাতেও কোনও লাভ হয়নি, ১৮ বল খেলেও নিজের ইনিংস খুব একটা বড় করতে পারেননি। মাত্র ১২ রান করেই আলিসের বলে সরাসরি বোল্ড আউট হয়ে ফেরেন এই ব্যাটার।

এরপর সাব্বির রহমানকে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন তানজিদ তামিম। ১১ বল বাকি হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা ক্যাপিটালস। সাব্বির রহমান অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ১৪ রানে।

তানজিদ অপরাজিত থাকেন ৫৪ বলে ৯০ রানে।

টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো করতে পারেনি চিটাগং কিংস। নাইম ইসলাম এবং জুবাইদ আকবরির উদ্বোধনী জুটি এদিন হাত খুলে খেলতে ব্যর্থ হয়েছে। ৪৪ বল স্থায়ী জুটিতে মাত্র ৪০ রান তুলেছে চিটাগং। জুবাইদকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন মোসাদ্দেক। ১৯ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৩ রান করেন এই আফগান।

গ্রাহাম ক্লার্কও হাত খুলতে পারেননি। দলীয় ৮৯ রানের মাথায় তিনি বিদায় নেন। নাজমুল ইসলামের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ১৮ বলে ২ চারে ১৯ রান করেন ক্লার্ক। দুই বল পর তালাত হুসাইনকেও (২) আউট করেন নাজমুল।

পরের ওভারে বিদায় নেন আগের ম্যাচের ম্যাচসেরা নাইম ইসলাম। ওপেনিং করতে নেমে এদিন হাত খুলে খেলতে পারেননি জাতীয় দলের সাবেক এই তারকা। ৪০ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৪৪ রান করে মোসাদ্দেকের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন।

এদিন মারকুটে ব্যাটিং করতে পারেননি শামিম হোসেনও। ১৬ বলে ১৫ রান করে বেটনের শিকারে পরিণত হন তিনি। পাকিস্তানি রিক্রুট হায়দার আলিও ১১ বলে ১৬ রান করে মেহেদী রানার শিকারে পরিণত হন। শেষদিকে অধিনায়ক মিঠুন ৮ বলে ১২ এবং খালেদ ৬ বলে ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।

ঢাকার হয়ে মোসাদ্দেক ৩ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন। ৩ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন নাজমুলও। এছাড়া ১টি করে উইকেট শিকার করেন বেটন এবং মেহেদী রানাও।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪
ক্যালিফোর্নিয়ায় আবারও ভয়াবহ দাবানল    
চিটাগংকে উড়িয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিলো ঢাকা ক্যাপিটালস
এক বছর ধরে গাঁজার গাছ রোপণ করে পরিচর্যা, অতঃপর আটক
ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২
টাঙ্গাইলে স্বামী-স্ত্রীর মাদকের ব্যবসা, জনতার হাতে উদ্ধার ২০ লিটার মদ
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাসিনার বিদ্বেষমূলক খবর প্রচার করলে আইনি ব্যবস্থা: চিফ প্রসিকিউটর  
এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়কের ওপর হামলা!
জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎ
আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ
চলতি বছরই নির্বাচন চায় বিএনপি ও খেলাফত মজলিস
৮টি খাতে ভ্যাট হ্রাস, ৪টি খাতে বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার
সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক
২৮ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে চলবে না ট্রেন!
বাবার জানাজার মাঠ থেকে কণ্ঠশিল্পী মনির খানের আইফোন চুরি
মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহার
বিএনপি ৩১ দফা বাস্তবায়নে জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: আমীর খসরু
বাবা-মা চাচ্ছিলেন না আমি পৃথিবীতে আসি : অপু বিশ্বাস
৪ দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ
নিজের সিনেমায় নিজের লেখা গান গাইলেন মোশাররফ করিম