২৫ বছরে বিয়ে করা জরুরি কেন
ছবি: সংগৃহীত
বিয়ে হল একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি যার মাধ্যমে দু'জন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এটি জীবনের অনুষঙ্গ একটি বিষয়। কার সাথে কার বিয়ে হবে সেটা আল্লাহ তায়ালাই জোড়া মিলিয়ে রেখেছেন। প্রয়োজন শুধু খুঁজে নেয়ার, দোয়া করার। তবে বর্তমানে অনেক পরিবার সঠিক সময়ে বিয়ে দিচ্ছে না তরুণ-তরুণীদের। এর অন্যতম কারণ কোন বয়সে বিয়ে করা উচিত, তা জানা নেই অনেকেরই। যদিও প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ যে কোনো বয়সেই বিয়ে করতে পারেন।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দাম্পত্য জীবন দীর্ঘস্থায়ী করতে নারীদের ২৫ ও পুরুষের ৩০ বছরের মধ্যেই বিয়ে করে নেওয়া জরুরি। তবে বিয়ের আগে অবশ্যই আর্থিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষা জানাচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট বয়সে বিয়ে করলে নাকি আয়ু বাড়ে পুরুষের। ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৪৫ জন মার্কিন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের উপর চালানো হয় এই সমীক্ষা।
এতে দেখা যায়, সুখী বিবাহিত পুরুষের আয়ু অনেকটাই বেশি। সুখী বিবাহিত পুরুষরা এই ডিভোর্সি ও একাকি পুরুষের চেয়ে অনেকটাই বেশি সুস্থ। এমনকি যাদের স্ত্রী নেই, তাদের থেকেও বেশি বছর বাঁচেন বিবাহিত পুরুষরা।
যে পুরুষ ২৫ বছর বয়সে বিয়ে করেন, তারাই নাকি বেশি সুরক্ষিত। অন্যদিকে যারা এর চেয়েও কম বয়সে বিয়ে করেন, তাদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হয়। আর অবিবাহিত পুরুষের থেকে বেশি সুখী বিবাহিত পুরুষরা। বেশিদিন বাঁচেন ও সুস্থ থাকেন তারা।
বিজ্ঞানীদের মন্তব্য, বয়স যত কম থাকবে, মনের মতো সঙ্গী পাওয়ার সুযোগ ততই বাড়বে। তাই নারীদের মতো পুরুষদের ক্ষেত্রেও ২৫ এর মধ্যে বিয়ে করলে মানানসই সঙ্গী পাওয়ার সুযোগ মিলবে বেশি।
সমীক্ষার তথ্য আরও জানাচ্ছে, যেসব পুরুষের শারীরিক সমস্য়া আছে তারাও যদি এই বয়সের মধ্যে বিয়ে করেন তাহলে তাদের বিবাহবিচ্ছেদের ঝুঁকিও কম থাকে।
বিয়ে করলেই কি সুস্থ থাকা যায়?
জাপানের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিবাহিত পুরুষদের চেয়ে অবিবাহিত পুরুষের হৃদরোগের ঝুঁকি ৩ গুণ বেশি থাকে। অন্যদিকে বিবাহিত পুরুষের ডিপ্রেশনের ঝুঁকি কম থাকে সিঙ্গেলদের তুলনায়।
এমনকি বিবাহিত জীবনে সুখী হলে রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক থাকে ও রক্তচাপজনিত সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। আসলে বিবাহিত জীবন সুখী হলে জীবনে দুশ্চিন্তাও কম থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, জীবন নিয়ে যে যতটা সন্তুষ্ট থাকবেন, ততটাই তার বাড়বে আয়ু।
সূত্র: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়