বউয়ের কথা শুনে চলা পুরুষরা দীর্ঘজীবী হন
ছবি: সংগৃহীত
সংসার চালানো থেকে শুরু করে সন্তান দেখাশুনা, লালন পালন সব একহাতে সামাল দিয়ে থাকেন সংসারী স্ত্রীরা। এসব দায়িত্বের পাশাপাশি নজরদারিতেও কিন্তু বেশ পটু স্ত্রীরা । এই যে ধরুন, স্বামী কোথায় যাচ্ছে, কি খাচ্ছে, কার সাথে মিশছে, দেরি করে বাসায় ফিরছে কেন? এসব কিছু। কিন্তু অধিকাংশ পুরুষই নারীদের অধিনে চলতে অপছন্দ করেন ।
তবে জানেন কি যদি আপনি স্ত্রীর কথা মেনে চলেন তাহলে কিন্তু আপনি সুস্থ থাকবেন, এমনটিই জানাচ্ছে গবেষণা। যেসব পুরুষরা তাদের স্ত্রীর কথা শুনে চলেন তারাই নাকি স্বাস্থ্যবান ও দীর্ঘজীবী হন। শুধু পুরুষদের ক্ষেত্রেই নয় বরং বৈবাহিক জীবনে সুখী নারীদের মধ্যে ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কম, বলেও জানায় গবেষকরা।
মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির (এমএসইউ) সমাজবিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে করা একটি সমীক্ষা দেখা গেছে, স্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে থাকা পুরুষদের মধ্যে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম। এমন পুরুষরা দীর্ঘজীবীও হন অন্যদের চেয়ে বেশি।
এই গবেষণার প্রধান গবেষক হুই লিউ বলেন, ‘বেশিরভাগ স্ত্রীই তার স্বামীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান। নিয়মিত স্বামীর স্বাস্থ্যের নজরদারি করনে তারা।’
‘সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার দিকেও অনেক স্বাস্থ্য সচেতন স্ত্রীরা খেয়াল রাখেন। এর ফলেই সুস্থ থাকেন স্বামী। যদিও অনেক স্বামীই স্ত্রীর এমন অনুশাসন পছন্দ করেন না। তবে এতে কিন্তু লাভ পুরুষেরই।’
গবেষণাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫৭-৮৫ বছর বয়সী ১২২৮ জন বিবাহিত ব্যক্তির উপর পরিচালিত হয়। গবেষণায় আরও দেখা যায়, একটি অসুখী বিবাহ খারাপ স্বাস্থ্য ও কম দীর্ঘায়ুর কারণ হতে পারে। অন্যদিকে সুখী পরিবারের দম্পতিরাও স্বাস্থ্যগতভাবে সুস্থ থাকেন ও দীর্ঘজীবী হন।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, অত্যধিক নিয়ন্ত্রণ স্বামী বা স্ত্রী কারও জন্যই ভালো নয়। সংসারের শান্তি বজায় রাখতে স্বামী বা স্ত্রী একে অন্যকে নিয়ন্ত্রণ করতেই পারেন, তাই বলে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ করতে যাবেন না।
সূত্র: ব্রাইট সাইড