রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫ | ১৬ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

অবিবাহিতদের নিয়ে মানুষ কেন রসিকতা করে? গবেষণা কী বলছে

ছবি: সংগৃহীত

জীবনের দীর্ঘ একটা সময় একাই কাটাতে হয়। পড়াশোনার হিসেব চুকিয়ে কর্ম জীবনে প্রবেশ করে তারপরেই সাধারনত বেশিরভাগ মানুষই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয় । অনেকে আবার এতো কিছুর তোয়াক্কা না করেই আগেই করে ফেলে । কেউ জীবনে একাকী থাকতে চাইলে, অর্থাৎ প্রেম বা জীবনসঙ্গীর সাথে আবদ্ধ না হলে প্রায়ই তাকে অন্যদের থেকে কিছু কথা শুনতে হয়। বন্ধুমহলের অনেকেই তাকে নিয়ে হাসি-তামাশা করে এবং জীবনে একা থাকা নিয়ে মজার ছলে কটাক্ষ করে। এমনকি প্রায় সময়ই তাকে শুনতে হয়, "তুমি এখনো কেন একা আছো?"

এরমধ্যে অনেককে আবার সান্ত্বনার সুরে আশ্বস্ত করতে বলতে শোনা যায়, চিন্তার কোনো কারণ নেই খুব শীঘ্রই তুমি তোমার মনের মানুষ খুঁজে পাবে। কথাগুলো শুনে মনে হতেই পারে তারা তাদের বন্ধুদের ব্যাপারে ভাবেন এবং তাদের ভালোর জন্য কথাগুলো বলছেন। কিন্তু জরিপ বলছে, কথাগুলো সংবেদনশীল শোনালেও এটি আসলে সিঙ্গেলদের কটাক্ষ ও শেমিং করতেই বলা হয়, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে ও ক্ষতি করছে।

সঙ্গীহীন বা সিঙ্গেল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে একধরনের নেতিবাচক চিন্তা অন্যদের মনে কাজ করে। একাকী থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে অন্যরা ভাবেন, এই মানুষটার জীবনে যেহেতু কোনো সঙ্গী নেই, তাহলে নিশ্চয়ই তার জীবনে সুখ নেই। অধিকাংশের ধারণা, একা থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে কোনো সমস্যা আছে, নাহলে কেন তারা জীবন সঙ্গী খুঁজে পায়নি বা পাচ্ছে না! ফলে সমাজে দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা এই বদ্ধমূল ধারণাগুলো ও অন্যদের কথার রোষানলে পরে আমরা ভাবতে শুরু করি, জীবনে সুখী হতে হলেন অবশ্যই একজন মানুষকে বিয়ে করে সংসার করতে হবে এবং বাচ্চা নিতে হবে।

যদিও সামাজিকভাবে মেনে আসা এই ধারণাগুলোকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কয়েক দশক ধরে এর পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে এখনো সঙ্গীহীন মানুষদের তীব্র কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে। 'বিবিসি ওয়ার্কলাইভ এই গবেষণাটি করতে গিয়ে লক্ষ্য করে, ডেটিং সাইটগুলো (যেখানে মানুষ নিজেদের সাথে মিল রয়েছে এমন কাউকে সঙ্গী হিসেবে খুঁজে নেয়) ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রাপ্ত বয়স্ক ১ হাজার জনের মধ্যে ৫২ শতাংশ লোক জানিয়েছিল একাকী থাকায় তাদের কী পরিমাণ কটাক্ষের স্বীকার হতে হয়েছিল। এই কটাক্ষের মাত্রা আরও তীব্র আকারে বেড়ে গিয়েছিল মহামারীর সময় ঘরবন্ধি সময় কাটানোর সময়। তখন মানুষ চিন্তা করতে লাগলো বন্ধী এই সময়তে তারা কার ওপর ভরসা করতে পারে, কে তাদের একান্ত আপনজন। এরমধ্যে ৫৯ শতাংশ মানুষ ছিল যারা তাদের একাকিত্ব জীবনকে উপভোগ করছিলো জানানোর পরেও তাদেরকে অন্যরা নানারকম প্রশ্ন করতো, এমনকি এখনো তাদেরকে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

কটাক্ষের শিকার হলে তা কী ক্ষতি করে

গবেষণাটি করতে গিয়ে গবেষকরা কটাক্ষের স্বীকার হওয়া ব্যক্তিদের কাছে জানতে চেয়েছিল, অন্যদের থেকে কোন কথাটি তাদের সবচেয়ে বেশিবার শুনতে হয়েছিল? তাদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ লোকের উত্তর ছিল, তাদেরকে অন্যরা বলতো, "চিন্তা কোরো না, শীঘ্রই তুমি কাউকে খুঁজে পাবে, দেখ।" ২৯ শতাংশ লোকেদের অন্যরা বলেছিল, "নিশ্চয়ই তুমি জীবনে খুব একা বোধ করো, তাই না?" আর ৩৮ শতাংশ মানুষকে অন্যের করুণার শিকার হতে হয়েছিল, যখন অন্যরা শুনেছিল তারা একা।

প্রচলিত আছে, আমাদের সমাজের বেশিরভাগের ধারণা সিঙ্গেল ব্যক্তিদের তুলনায় বিবাহিতরা বেশি সুখী। যারা সিঙ্গেল, তাদের জীবনে সুখের লেশমাত্র তেমন থাকে না এবং একা থাকতে থাকতে তারা একরকম স্বার্থপর হয়ে উঠে। কিন্তু কিছু গবেষণা এই ধারণাগুলোকে ভ্রান্ত ধারণা বলে উল্লেখ করেছে। ২০১৮ সালে করা জার্মান স্টাডি বলেছে, সমাজে কিছু বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে যে- একা থাকা ব্যক্তির জীবন দুঃখময় হয় আর বিবাহিতদের জীবনের সুখের হয়, কিন্তু এগুলো একেবারেই সঠিক নয়।

একা থাকতে চাওয়া ব্যক্তিদের কটাক্ষের শুরুটা হয় পরিবার ও বন্ধুদের কাছ থেকে। এটার পেছনে একটা দেশের সরকারের কিছু ভূমিকা থাকে, তারা বিবাহিতদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করে দেয়, যা একজন অবিবাহিত ব্যক্তিকে দেওয়া হয়না। কিছু মানুষের তখন মনে হতে শুরু করে বিয়ে করাটাই জীবনের সঠিক সিদ্ধান্ত হবে। এক্ষেত্রে যারা এই ধারার উল্টো পথে হাঁটতে শুরু করে অর্থাৎ একা থাকার সিদ্ধান্ত নেয় তাদের জন্য এটাকে অন্যরা জীবনের ভুল সিদ্ধান্ত বলে গণ্য করে।

আমেরিকার কথাই বলা যাক, সেখানে একজন বিবাহিত চাকরিজীবী ব্যক্তি তার স্ত্রীর নামে স্বাস্থ্য সেবা পরিকল্পনা বীমা করতে পারেন। কিন্তু যে ব্যক্তি বিয়ে করেননি তিনি তার ঘনিষ্ঠ কেউ অর্থাৎ ভাই-বোন বা বন্ধুদের জন্য চাইলেই এই বীমা সুবিধা পাচ্ছে না। এমনকি বিবাহিতরা অফিসের ছুটির ক্ষেত্রে পরিবারের সাথে কাটাতে কয়েকদিন বেশি পেয়ে থাকে এবং বেশি বোনাস পায়।

অবিবাহিত নারী-পু্রুষের জন্য কটাক্ষের মাত্রা সমান হয় না

প্রতিটি সমাজেই অবিবাহিত নারী ও পুরুষদের কে সমানভাবে দেখা হয় না বা একই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় না। নারীদেরকেই বেশি কথা শুনতে হয় এবং কিছু কিছু সমাজে নারীদের জোর করে বিয়ে দেওয়া হয় ও বাচ্চা নিতে বাধ্য করা হয়। ধরেই নেওয়া হয় অবিবাহিত নারীরা পুরুষবিদ্বেষী হয়, তাই তারা বিয়ে করেনি। যেখানে অবিবাহিত পুরুষদের বয়স নিয়ে কটাক্ষ করা হয় না, সেখানে ওই একই বয়সের কোনো নারী অবিবাহিত থাকলে তার বিয়ের বয়স পার হয়ে গেছে বলে নিন্দে করা হয়। অবিবাহিত পুরুষদের ক্ষেত্রে এটাও ভাবা হয়, নিশ্চয়ই পুরুষটি তার জীবন উপভোগ করতে একা আছেন এবং আনন্দের সাথে জীবনের একাকিত্ব কাটাচ্ছেন। কিন্তু অবিবাহিত নারীদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটিকে দেখা হয় সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে।

সামাজিক ও ভৌগলিক অবস্থানের ওপরেও 'সিঙ্গেল শেমিং' নির্ভর করে। যেমন—চীন, কোরিয়া ও ভারতে বসবাসকারী অবিবাহিত একজন নাগরিককে যেভাবে কটাক্ষের শিকার হতে হয়, আমেরিকা বা মধ্য আমেরিকার একজনকে ওই একইভাবে কটাক্ষের শিকার হতে হয় না। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থান নির্ধারণ করে দেয় সমাজে নারী-পুরুষের ভূমিকা ও কে কখন বিয়ে করবে।

সূত্র: বিবিসি

Header Ad
Header Ad

৮ বছর পর পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে ঈদ উদযাপন করলেন খালেদা জিয়া

৮ বছর পর পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে ঈদ উদযাপন করলেন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

আট বছর পর পরিবারের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপন করলেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ছেলে তারেক রহমান, দুই পুত্রবধূ ও তিন নাতনির সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগ করে নেন তিনি। দীর্ঘদিন পর স্বজনদের সঙ্গে ঈদ কাটানোর সুযোগ পেয়ে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

রোববার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান।

ঈদকে কেন্দ্র করে তারেক রহমানের বাসায় বিশেষ আয়োজন করা হয়। খালেদা জিয়ার দুই পুত্রবধূ—তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান—ঈদের সব আয়োজনের দায়িত্ব নেন। ঈদের দিনে বাড়ির পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর।

সকাল থেকেই ঈদের আমেজ শুরু হয়। পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এরপর বাসায় ফিরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন সবাই। তার নাতনিরা তাকে বিশেষ ঈদ উপহার দেয়, যা তাকে অত্যন্ত আবেগাপ্লুত করে তোলে।

ঈদের দিন বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়। তারেক রহমানের বাসায় ঐতিহ্যবাহী সেমাই, পায়েস, বিরিয়ানি, কাবাবসহ নানা রকম খাবার পরিবেশন করা হয়। পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে বসে দুপুরের খাবার উপভোগ করেন।

লন্ডনে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, "এবারের ঈদ তার জন্য বিশেষ কিছু, কারণ দীর্ঘদিন পর স্বজনদের সান্নিধ্যে এটি উদযাপন করছেন। তার নাতনিরা তাকে ঘিরে দারুণ উচ্ছ্বসিত। ঈদের আয়োজন ও ভালোবাসায় খালেদা জিয়া আবেগে আপ্লুত হয়েছেন।"

এটি ছিল খালেদা জিয়ার লন্ডনে তৃতীয়বারের মতো ঈদ উদযাপন। এর আগে, ২০১৭ সালে তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করেছিলেন। এরও আগে, ২০১৫ সালে প্রায় আট বছর পর তিনি পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে ঈদ পালন করেন।

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, "তিনি কবে দেশে ফিরবেন তা এখনো নিশ্চিত নয়, তবে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।"

দীর্ঘদিন পর পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পেরে খালেদা জিয়ার মন ভালো থাকলেও, তিনি দেশ ও দেশের মানুষের কথা বারবার স্মরণ করছেন বলে জানান তার ঘনিষ্ঠরা।

Header Ad
Header Ad

ইসরাইলে হুথি বিদ্রোহীদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ছবি: সংগৃহীত

ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি ইসরাইলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তবে এই হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

রোববার (৩০ মার্চ) ইয়েমেন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরাইলি আকাশসীমায় প্রবেশের আগেই ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে আইডিএফ। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানায়, হামলার সতর্কতা হিসেবে রাজধানী তেল আবিব, জেরুজালেম সংলগ্ন এলাকা ও পশ্চিম তীরের কয়েকটি শহরে সাইরেন বাজানো হয়। ফলে সাধারণ জনগণ দ্রুত আশ্রয়স্থলে যাওয়ার সুযোগ পান।

এদিকে, ইসরাইলের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, হামলার আশঙ্কায় বেশ কিছু এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে সাইরেন বাজিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়।

গত ১৮ মার্চ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরাইল নতুন সামরিক অভিযান শুরু করে। এতে প্রায় এক হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হন। এর প্রতিক্রিয়ায় ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা ইসরাইল লক্ষ্য করে হামলা চালাতে থাকে।

গত কয়েক দিনে এটি ছিল হুথিদের অষ্টম ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে হুথিরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ইসরাইলি ও মার্কিন বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে।

হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী হ্যারি ট্রুম্যান নেতৃত্বাধীন যুদ্ধজাহাজের বহরে অন্তত তিনবার হামলা চালানোর দাবি করেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় এ ধরনের বেশ কয়েকটি হামলা চালানো হয়েছে।

পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে। ইসরাইল ও হুথি বিদ্রোহীদের মধ্যে এ উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Header Ad
Header Ad

তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন

ছবি: সংগৃহীত

চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা জোরদার করতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক সফর বেশ ফলপ্রসূ হয়েছে। এ সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার পাশাপাশি একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিশেষ করে বহুল আলোচিত তিস্তা প্রকল্পে চীনের ইতিবাচক সাড়া দেশের পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।

রোববার (৩০ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর নিয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, "চীন বাংলাদেশের পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং তিস্তা প্রকল্প নিয়েও তারা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।"

এই ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

প্রসঙ্গত, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ২৬ মার্চ চার দিনের সরকারি সফরে চীনে পৌঁছান। সফরকালে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি এবং আটটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।

এছাড়া, তিনি চীনের হাইনানে অনুষ্ঠিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) সম্মেলনে ভাষণ দেন। সেখানে তিনি চীনের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সফরের অংশ হিসেবে চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের (এক্সিম ব্যাংক) চেয়ারম্যান চেন হুয়াইউ-এর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি।

ড. ইউনূসের এ সফর শুধু কূটনৈতিক নয়, শিক্ষাক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। সফরের এক পর্যায়ে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। এ সম্মান গ্রহণের পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন, যা তরুণদের মধ্যে উদ্ভাবন ও সামাজিক ব্যবসার প্রতি আগ্রহ তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ সফরকে ঘিরে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে তিস্তা প্রকল্পে চীনের ইতিবাচক মনোভাব ভবিষ্যতে এ প্রকল্পের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮ বছর পর পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে ঈদ উদযাপন করলেন খালেদা জিয়া
ইসরাইলে হুথি বিদ্রোহীদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন
কারাগারে ঈদ: জেলে বন্দি নেতারা কেমন কাটাবেন ঈদের দিন?
শিল্পকলায় ‘চাঁদ রাতের আনন্দ অনুষ্ঠান’ থাকছে মাইজভান্ডারী গানের পরিবেশনা  
নিজেদের নয়, প্রকৃতিকে ঈদ উপহার দেওয়া উচিৎ : পরিবেশ উপদেষ্টা  
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৪৭৮টি যান পারাপার  
রেলের কেউ কালোবাজারিতে জড়াতে সাহস পায়নি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা    
রাজধানীতে কখন কোথায় ঈদ জামাত
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়বেন প্রধান উপদেষ্টা  
ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের জেরে প্রাইভেটকারে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ২  
খুলনায় আ.লীগ নেতাদের চাঁদায় এনসিপির ব্যানারে ইফতার  
খুলনায় মধ্যরাতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর গোলাগুলি  
নির্বাচনে থাকছেনা পোস্টার, প্রার্থীর প্রচারে থাকবে কাপড়ের ব্যানার
যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ির ওপর বিমান বিধ্বস্ত, বেঁচে নেই আরোহীদের কেউ  
টাঙ্গাইলে একদিন আগে ৪০ পরিবারের ঈদ উদযাপন  
সৌদির সঙ্গে মিল রেখে লক্ষ্মীপুরে ১০ গ্রামে ঈদ উদযাপন  
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে উদ্ধারকারী দল পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী
নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ইমরান খান
চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা