শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শীতের সময় প্রতিদিন গোসল করা কতটা জরুরি

ছবি সংগৃহিত

শীতের দিনে গোসল করা নিয়ে অনেকেই ভয়ে থাকেন, বিশেষ করে গরম পানির ব্যবস্থা না থাকলে। গোসলের মাধ্যমে ত্বকে জমে থাকা ধুলাবালি ও ময়লা দূর হয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য প্রতিদিন গোসল করা কি জরুরি ?

'গুসল' একটি আরবি শব্দ। নামাজ ও কুরআন পাঠের মতো ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নেবার আগে মুসলমান নারী-পুরুষের বাধ্যতামূলকভাবে পুরো শরীর পবিত্র করার একটি প্রক্রিয়া। অন্যান্য ধর্মের মানুষের ধর্মীয় আচার পালনের সঙ্গেও কোনো না কোনোভাবে গোসলের সংযোগ আছে। বাংলা ভাষায় গোসলের সমার্থক শব্দ স্নান বা অবগাহন।

কখনো ভেবে দেখেছেন কী দিনের পর দিন গোসল না করলে কী হয়? চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতে দৈনিক গোসল করা আসলে শরীরের জন্য তেমন ভালো নয়। অন্যরা তা নিয়ে যতই মজা করুন না কেন!

আমেরিকার চর্মরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গোসল করার অভ্যাস শৌচের জন্য তত জরুরি নয়। বরং বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের গোসলের নিয়মে আছে অনেকটাই সামাজিক ছুতমার্গ। অর্থাৎ নিয়মিত স্নান করেন না মানেই অপরিচ্ছন্ন, এমন নয়। গরম পানিতে বেশিক্ষণ গোসল করলে ত্বক আর্দ্র হওয়ার বদলে শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। ফলে দৈনিক গরম পানিতে গোসল করলেও ১০ মিনিটের বেশি সময় ধরে না করাই ভালো।

গোসল না করলে কিছু ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয় শরীরে। এ সময় ত্বক ভালো রাখতে সেসব ব্যাকটেরিয়া খুব জরুরি। গোসল করলে সেই ব্যাকটেরিয়াগুলো চলে যায়। তাই শীতকালে সপ্তাহে ২-৩ বারের বেশি গোসল না করার পরামর্শ দিচ্ছেন চর্মরোগ চিকিৎসকরা। শীতকালে বেশি গোসল করলে নখেরও ক্ষতি হতে পারে। কারণ এই সময়ে নখের অবস্থা খারাপ থাকে। বার বার গোসল করলে নখ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

এখন গোসলের সঙ্গে স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে কিছু বিষয় জেনে নেওয়া যাক-

কতবার গোসল প্রয়োজন?

প্রতিদিন গোসলের প্রয়োজন নেই এই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা একমত হলেও সপ্তাহে ঠিক কতবার গোসলের প্রয়োজন তা নিয়ে নানা মত রয়েছে। ত্বকের ধরণের ওপর ভিত্তি করে সপ্তাহে এক বা দুইদিন কিংবা বা এক/দুই/তিন দিন পরপর গোসল করা যেতে পারে। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা এক বা দুই দিন পরপর, আর যাদের ত্বক শুষ্ক তারা সপ্তাহে এক বা দুই দিন গোসল করতে পারেন। তবে, যাদের ত্বকে অতিরিক্ত ঘাম তৈরি হয়, শারীরিক পরিশ্রম, ব্যায়াম করেন কিংবা স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা পরিবেশে কাজ করেন তাদের প্রতিদিনই গোসল করা প্রয়োজন। প্রতিদিন গোসলের প্রয়োজন না থাকলেও হাত এবং মুখ পরিষ্কার করা এবং অবশ্যই ত্বকের যত্ন নিতে হবে।

প্রতিদিন গোসলের ক্ষতি কী?

আমাদের ত্বক থেকে এক ধরনের তেল নিঃসরিত হয়, যা ত্বককে মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখে। এ ছাড়াও, ত্বকের বাইরের স্তরে কয়েক ধরনের স্বাস্থ্যকর জীবাণু বাস করে যারা রোগ প্রতিরোধক হিসেবে ভূমিকা রাখে। গোসলের সময় ত্বকের নিঃসরিত তেল এবং এসব জীবাণু পরিষ্কার হয়ে যায়, যা ত্বক এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ত্বক উজ্জ্বলতা হারিয়ে খসখসে হয়ে যেতে পারে। আর এ কারণে চুলকানি অনুভূত হতে পারে। এমনকি ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে সংক্রামক রোগও হতে পারে।

কীভাবে গোসল করবেন?

১.কুসুম গরম পানি দিয়ে দ্রুত গোসল শেষ করুন।

২.গোসলে অপেক্ষাকৃত কম ক্ষারীয় এবং তেলযুক্ত সাবান ব্যাবহার করুন। মনে রাখবেন শরীরের সবস্থানে এবং প্রতিবার গোসলেই সাবানের প্রয়োজনীয়তা নেই। হাত, মুখ, বগল ও উরু এলাকায় সাবান ব্যবহার করলেই যথেষ্ট। ত্বকের ধরন অনুযায়ী সাবান নির্বাচন করুন। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে পারেন।

৩.গোসলের সময় বেশি জোরে ত্বক ঘষবেন না। এজন্য নরম স্পঞ্জ বা কাপড় ব্যবহার করতে পারেন।

৪.গোসল না করলে তোয়ালে ভিজিয়ে গা মুছে ফেলতে পারেন।

৫.গোসলের পর নিজের পছন্দ মত বা ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

মনে রাখতে হবে শীতকালে আমাদের ত্বক শুষ্ক থাকে। তাই প্রতিদিন গোসল নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই। বরং প্রতিদিন গোসল না করাই স্বাস্থ্যকর। অবশ্য এজন্য ধুলা-বালি এবং স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা পরিবেশ এড়িয়ে চলতে হবে। প্রতিদিন গোসল করা যেমন স্বাস্থ্যকর নয়, তেমনি একবারে গোসল না করলে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও আছে। তাই প্রতিদিন গোসল না করলে হাত, পা এবং মুখ নিয়মিত পরিষ্কার করুন এবং যত্ন নিন।

তাই গোসল নিয়ে ভয় না পেয়ে আপনার ত্বকের ধরন এবং পেশার উপর ভিত্তি করে সপ্তাহে গোসলের রুটিন ঠিক করে নিন। ত্বকের ধরন জানতে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।

 

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক