বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সামাজিক বা পারিবারিক চাপে পড়ে বিয়ের কুফল

বিয়ে আর বিবাহিত জীবন নিয়ে একেক জনের ভাবনা একেক রকম। কেউ বিয়ে বিষয়টা ইতিবাচক হিসেবে দেখে আবার কেউ বা নেতিবাচক। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় বিয়ে ব্যাপারটি ব্যক্তিভেদে মানসিক, শারীরিক বা সামাজিক চাহিদা পূরণের মাধ্যম বলে মনে করে। কিছু মানুষের ধারণা আবার একদমই ব্যতিক্রম। তারা মনে করে বিয়ে একটি সমাজ স্বীকৃত পরাধীনতার শৃঙ্খলমাত্র। এটি মানুষকে তার অবাধ স্বাধীনতা হরণ করার মাধ্যমে মানসিকভাবে বন্দি করে ফেলে। বিবাহিত জীবন কেমন হবে তা নির্ভর করে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের উপর। এত কিছুর পরও বিয়ে একটি অন্যতম অধ্যায়। তবে জীবনের এ গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের শুরু করার বিষয়ে নিজের সিদ্ধান্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পারিবারিক বা সামাজিক চাপে বিয়ে করলে সংসার জীবন থেকে শান্তি দূর হয়ে যায়।

পারিবারিক চাপ
বেশিরভাগ ছেলে-মেয়েদেরই পারিবারিক চাপের মুখে মা-বাবাকে খুশি করতে মানসিকভাবে প্রস্তুত না হয়েই বিয়ে করতে হয়। যেটা হয়তো তাদের ব্যক্তি জীবনে সুখকর ফলাফল বয়ে আনে না।

কম বয়সী মেয়েদের ভালো বর
প্রায় পরিবারেই কম বয়সী মেয়েদের মা-বাবা বিয়ে দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কারণ তাদের ধারণা বয়স কম থাকলেই মেয়েদের জন্য ভালো আর প্রতিষ্ঠিত পাত্র পাওয়া যায়। আবার এও ভাবে যে পরে ভালো কোনো পাত্র নাও আসতে পারে। এ চিন্তা করে তারা অল্প বয়সেই মেয়েদের বেশি বয়স্ক ছেলের কাছে বিয়ে দিয়ে দেন। আবার ছেলে বা ছেলের পরিবারও ভাবেন যে ঘরে কম বয়সী বউ আনলে তারা বাধ্য আর ভালো বউ হবে। কিন্তু দুই ক্ষেত্রেই দেখা যায় বয়সে বিস্তর পার্থক্য থাকার কারণে স্বামী-স্ত্রীর উভয়ের মধ্যেই মনের মিল হয় না। একটা দূরত্ব থেকেই যায়। আর এতে করে তারা সংসার জীবনে সুখী হতে পারেন না। আসলে বিয়ের ক্ষেত্রে বয়স কোনো ব্যাপার না। বরং দুজন প্রাপ্তবয়স্ক দম্পতির বিবাহিত জীবনে বোঝাপড়া ভালো হয় আর তারা ব্যক্তি জীবনে সুখে থাকে।

প্রতিবেশীদের সমালোচনা
মেয়েরা যদি বিয়েটা তাড়াতাড়ি না করে পড়াশুনা আর ক্যারিয়ারকে প্রাধান্য দেয়, তখনও দেখা যায় আশেপাশের লোকজন,পাড়া প্রতিবেশীরা বিভিন্ন সমালোচনা করতে থাকে। বয়স হয়ে গেছে,কেন বিয়ে করছে না, বয়স্ক আর অতি শিক্ষিত মেয়েদের ভালো জামাই পাওয়া যায় না,তারা সংসারি হয় না। এসব অযৌক্তিক সমালোচনা প্রতিনিয়ত শুনতে পাওয়া যায়। আর এসব বদ্ধমূল চিন্তা মাথায় নিয়ে ছেলে বা ছেলের পরিবারও বেশি বয়সী মেয়েদের থেকে কম বয়সী মেয়েদের বউ হিসেবে পছন্দ করে।
বেশির ভাগ ছেলেরাই চায় অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল হয়ে বিয়ে করতে, আর এতে করে অনেকেরই বিয়ে করতে দেরী হয়ে যায়। তখনও তাদের পাড়া-প্রতিবেশীদের বিভিন্ন প্রশ্নের আর কানাকানির মুখোমুখি হতে হয়। পাড়া প্রতিবেশী কী বলবে সে কথায় কান না দিয়ে নিজেকে যোগ্য বানিয়ে বিয়ে করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

আবেগের বশবর্তী বা বাহ্যিক সৌন্দর্যে প্রলোভিত হওয়া
অনেক ছেলে-মেয়েরা আবেগের বশবর্তী হয়ে আর বাহ্যিক সৌন্দর্যে প্রলোভিত হয়ে কোনো কিছু চিন্তা না করেই হুট করে বিয়ে করে ফেলে। অথবা ভুল কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে নিজেদের ভবিষ্যতের কথা না ভেবেই আবেগ তাড়িত হয়ে বিয়ে করে ফেলে। অতি আবেগের বশে এ ভুল সিদ্ধান্তে ছেলে-মেয়ে কেউই ভালো থাকে না। কাজেই আবেগ তাড়িত হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক না।

টাকা পয়সা ও বিলাসিতার প্রতি ঝোঁক
অনেক পরিবারেই দেখা যায় টাকা-পয়সা ভালো আছে যাদের, সেই পরিবারের পাত্র-পাত্রী পেলে অন্যান্য খোঁজ খবর না নিয়েই লোভে পড়ে বিয়ে দিয়ে ফেলে। ছেলে মেয়েরাও বিলাসী জীবনযাপনের চিন্তায় রাজি হয়ে পড়ে। কিন্তু একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, টাকা-পয়সাই জীবনে সুখ এনে দিতে পারে না, যদি পরস্পরের মধ্যে বোঝাপড়া আর ভালোবাসা না থাকে। বোঝাপড়া, সম্মান আর ভালোবাসা থাকলে কম টাকায়ও সংসার সুন্দর হয়। টাকা-পয়সাকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিলে সংসার জীবনে কোনো দিন সুখ-শান্তি আসে না।

বন্ধুদের সঙ্গে তুলনা
বন্ধুরা ধনী জামাই বা বউ পেয়েছে, তাদের দামি গাড়ি-বাড়ি আছে, অনেক টাকা-পয়সা এসব তুলনা করে চললে নিজেদের জীবনে খারাপ ছাড়া ভালো কোনো ফলাফল আসবে না।

বিয়ে মানে জাঁকজমক অনুষ্ঠান
আজকাল প্রচুর অর্থ ব্যয় করে বিভিন্ন রকমের বড় বড় আয়োজনের মাধ্যমে বিয়ের অনুষ্ঠান করা হয়। পরিচিত অমুকের বিভিন্ন রকমের আয়োজন করে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে, কাজেই আমাকেও তেমন কিছুই করতে হবে। বিয়েটা যেন এখন একটি ট্র্যাডিশনে পরিণত হয়ে গেছে। লোক দেখানো এসব চিন্তা বাদ দিয়ে ভালো আর সুন্দর একটা জীবনের আশায় বিয়ে করলে বাকি জীবনটা সুখ-শান্তিতে কাটানো যায়।

জৈবিক চাহিদা
প্রাপ্ত বয়স্ক হলে নারী-পুরুষের মধ্যে শারীরিক চাহিদা তৈরি হয়, যা খুবই সাধারণ ব্যাপার। বৈবাহিক সম্পর্ক সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে শারীরিক সম্পর্কের বৈধতা আনে। কিন্তু যদি শুধু শারীরিক ব্যাপারটা মাথায় রেখে বিয়ে করা হয়, তবে সেটা চরম ভুল হবে। কারণ শারীরিক মোহ দ্রুত কেটে যায় আবার অনেক সময় বিভিন্ন অসুস্থতার জন্য, কোনো দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী দুজনেই শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে যেতে পারে। কাজেই সম্পর্কের ভালোবাসাটাই মূখ্য। সুতরাং কেবল চাহিদা মেটানোর জন্য বিয়ে করার সিদ্ধান্ত কোনভাবেই নেওয়া উচিত নয়।

বিবাহিত কিংবা ভালোবাসা যে কোনো সম্পর্কেই ত্যাগ বা ছাড় দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অযৌক্তিক যত চিন্তা আছে সব দূরে ঠেলে নিজের জীবনটা কে সুন্দর করে সাজাতে সঠিক সময়ে বিয়ে করার সঠিক সিদ্ধান্ত নিন।

এসএন

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত