রোগের প্রতিকার-পানি পান

১. বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মানব দেহের ৬০ ভাগই পানি।
২. ফলে প্রতিদিন অন্তত আট গ্লাস পানি একজন পূর্ণ বয়সের মানুষকে পান করতে হয়।
৩. মানব শরীরের দুই ভাগ পানি কমে গেলে তিনি ডিহাউড্রেশন বা পানিশূণ্যতায় ভোগেন।
৪. কোনো খেলোয়াড় তার খেলার সময় শরীরের ছয় থেকে ১০ ভাগ পানি হারিয়ে ফেলেন।
৫. ফলে নিয়মিত পুরোপুরিভাবে পানি পানের কোনো বিকল্প নেই।
৬. মানব শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে পানি প্রধান ভূমিকা পালন করে।
৭. এমনকি মস্তিস্ককেও খুব ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করে।
৮. বিজ্ঞানীদের গবেষণা আরো জানিয়েছে, ১ থেকে ৩ শতাংশ পানি হারিয়ে ফেললে মস্তিস্কে ডিহাইড্রেশন শুরু হয়।
৯. পানি না খেলে মস্তিস্কের কার্যক্রম দুর্বল হয়ে পড়ে।
১০. তরুণদের ওপর একটি গবেষণা বলেছে, তাদের শরীরের ১.৬ শতাংশ পানি কমে যাওয়া মানে মস্তিস্কের কার্যক্রমও দুর্বল হয়ে যাওয়া।
১১. পানি ঠিকমতো না খাওয়া যেকোনো মানুষের রাগ বাড়া ও ক্লান্তি তৈরির কারণ।
১২. শিশু থেকে বুড়ো প্রতিটি মানুষ নিয়মিত পরিমান মত পানি পান না করলে তার মানসিকতা, স্মৃতিশক্তি, শরীর ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যায়।
১৩. মাথা ব্যথা বা মাথা ধরা ডিহাইড্রেশন বা পানিশূণ্যতার অন্যতম লক্ষণ।
১৪. আবার যাদের মাথা ধরে বা ব্যাথা করে তাদের এই রোগটি সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে নিয়মিত পানি পান।
১৫. ১শ ২ জন মানুষের ওপর পরিচালিত একটি গবেষণা জানিয়েছে, প্রতিদিন ১.৫ লিটার পানি খেলে মাইগ্রেন বা মাথা ব্যাথার খুব ভালো উপকার হয়।
১৬. এই গবেষণায় ৪৭ ভাগ মানুষের পরিমানের চেয়ে বেশি পানি খাওয়ার ফলে উন্নতি হয়েছে মাথা ব্যাথা রোগের।
১৭. যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে, তাদের চিকিৎসায় তরল খাবার খাওয়া আবশ্যক। ফলে পানি দারুণ উপকারী।
১৮. এমনকি মানুষের শরীরের তরুণ ও বুড়ো হওয়ার ক্ষেত্রেও অন্যতম প্রভাবক পানি পান।
ওএফএস।
