বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ভুলে যাওয়া ঠেকাবেন কীভাবে?

গাড়ির চাবি খুঁজে পাচ্ছেন না? বাজারের তালিকা ভুলে গিয়েছেন-এই সমস্যাগুলোতে আপনি একা আক্রান্ত হন না। কোনো না কোনো সময় প্রত্যেকটি মানুষই কোনো না কোনো জরুরি বিষয় ভুলে যান। কখন, কীভাবে ভুলে যাওয়া রোগে আক্রান্ত হবেন তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। রোগটিকে চরম অবস্থায় বা চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় আমরা ‘ডিমেনশিয়া’ নামে অভিহিত করি। এই ভুলে যাওয়া রোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য কিছু কমকাণ্ড সাহায্য করতে পারে। আপনার স্মৃতিশক্তিকে সামান্য কিন্তু অত্যন্ত জরুরী কাজগুলোতে ধারালো করতে পারেন-

১. প্রতিদিনের জীবনে শারিরীক কর্মকাণ্ড যুক্ত করুন। শারিরীক কর্মকাণ্ড আপনার পুরো শরীরের রক্ত সঞ্চালনকে বাড়িয়ে তোলে। স্মৃতিশক্তিকেও ধারালো করে। চাইলে দিনে একবার সামান্য ক্ষণের জন্য হলেও ব্যায়াম করতে পারেন।
২. যারা খুব মোটা তাদের জন্য সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট বাতাসের মধ্যে দ্রুত হাঁটা না পারলে ৭৫ মিনিট জোরে হাঁটা, দৌড়ানো খুব ভালো ব্যায়াম। পুরো সপ্তাহ ধরে এই ব্যায়ামগুলোর যেকোনো একটি করলে আপনার স্মৃতিশক্তি বেঁচে থাকবে।
৩. যারা পুরো সপ্তাহ ব্যায়ামের সময় বের করতে পারেন না, তারা প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট হাঁটুন।
৪. শারীরিক ব্যায়াম বা কাজ আপনার শরীরকেও ফিট রাখতে সাহায্য করে।
৫. মানসিক উদ্দীপনাময় কাজগুলোও স্মৃতির জন্য খুব উপকারী। তাতে মস্তিস্কের আকৃতিও ঠিক থাকে।
৬. ফলে প্রতিদিন স্মৃতিশক্তি হারানো কমে। এজন্য ক্রসওয়াড পাজল করতে পারেন। তাস খেলতে পারেন।
৭. গাড়ি চালানোর বিকল্প পথ বের করলে মস্তিস্কের কার্যকারিতা বাড়ে।
৮. যেকোনো একটি বাদ্যযন্ত্র বাজানো শিখতে পারেন।
৯. কোনো স্থানীয় বিদ্যালয় বা সংগঠনে স্বেচ্ছাসেবা দিতে পারেন।
১০. কোনো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। এই কাজগুলো মনকে ভালো রাখে। তাতে মন ঠিক থাকে, মস্তিষ্কও ভালো থাকে। শরীরেরও উপকার হয়।
১১. নিয়মিত সামাজিকভাবে সক্রিয় থাকলে ও সমাজের মানুষের সঙ্গে সংযুক্ত থাকলে হতাশা ও চাপ কমে। এই দুই রোগেই মানুষের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যায়।
১২. ফলে একত্র হবার সুযোগগুলো গ্রহণ করুন।
১৩. পরিবার, আত্মীয়ের সঙ্গে দাওয়াত, ভালো কাজ ও আলোচনায় অংশগ্রহণ করুন।
১৪. যাকে ভালোবাসেন তার সঙ্গে সময় কাটান-এই অবশ্যই কাজগুলো করুন যারা একাকী জীবনযাপন করেন।
১৫. সংগঠিত জীবন যাপন করুন। যারা বাড়িতে বিশৃংখল জীবন যাপন করেন এবং বিশৃংখলা সৃষ্টি করেন, কাজ ফেলে রাখেন ও জটিলতা তৈরি করেন, তারা পরিকল্পনা করে ভালো জীবন যাপন করুন বাড়িতে, ঘরে।
১৬. বাসার মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। জটিলতা এগিয়ে চলুন ও জটিলতা এবং সমস্যা নিজের দিক থেকে তৈরি করবেন না।
১৭. ভালো হন, ভদ্রলোকের আচরণ করুন। একসময় অভ্যাস হয়ে যাবে।
১৮. যারা কাজে জট পাকিয়ে ফেলেন ও জটিলতা তৈরি করেন, তাদের মুক্তির উপায় হলো আজকের কাজগুলো কী, কী আছে সেগুলো একে, একে সম্পন্ন করা। যে কাজগুলো শেষ করেছেন সেগুলোর জন্য তৃপ্ত হন, নিজেকে ধন্যবাদ জানান।
১৯. নিজের কাজগুলো গুছিয়ে করা শুরু করুন। নিজের বিছানা নিজেই পরিষ্কার করুন, ঘর ঝাড়ু দিন। টেবিল গুছিয়ে রাখুন। নিজের মানিব্যাগ, মোবাইল ও ঘড়ি এক জায়গাতে রেখে ভালো জীবনের সূচনা করতে পারেন নিজের জন্যই।
২০. ক্ষোভ বা বিক্ষোভ সবার মধ্যেই আছে। ফলে এই সমস্যা ও রোগগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করুন।
২১. বাড়তি কথা বলবেন না। খারাপ কথা বলবেন না।
২২. খারাপ কাজ করবেন না।
২৩. অনেকগুলো কাজ একত্রে করতে যাবেন না। একটি, একটি করে কাজ করুন।
২৪. নিজেকে ধরে রাখার জন্য দিনে একবার প্রিয় কোনো গান শুনুন, পছন্দের কোনো বই পড়–ন বা লিখুন নিজের অবসর কাটানোর জন্য।
২৫. ভালোভাবে ঘুমানোর কোনো বিকল্প নেই কোনো মানুষের জীবনে। পর্যাপ্ত ও সম্পূর্ণ ঘুম আপনার স্মৃতিগুলোকে একত্রিত করে। ফলে সেগুলোকে আপনি পরে মনে করতে পারবেন। স্মৃতি ভালো থাকবে। ঘুমের বিষয়ে সচেতন থাকুন।
২৬. প্রতিটি পূর্ণ বয়সের মানুষের সাত থেকে নয় ঘন্টা ঘুমাতে হয়।
২৭. ভালো ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে প্রতিটি মানুষকেই ভালো থাকার জন্য শরীর এবং মনে। মস্তিষ্কের জন্য ভালো খাবার খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। আপনার হৃদযন্ত্রের জন্যও প্রয়োজনীয়। শরীরের জন্য তো বটেই। প্রতিদিনের খাবারের পাশাপাশি ফল খান।
২৮. অতিরিক্ত সিগারেট খেলে মস্তিষ্ক দুর্বল হয়ে যায়।
২৯. দীর্ঘস্থায়ী জটিলতাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করুন। হতাশা, ব্যাথা বা রোগ কোনো প্রিয়জনের থাকলে তাকে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে দেখুন। না হলে তিনি ভালো থাকবেন না, আপনারও রোগ হবে। সেগুলোর মধ্যে আছে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টরেল বেড়ে যাওয়া, কানে কম শোনা এবং মোটা হয়ে যাওয়া। এসব রোগে আক্রান্ত হলে সবচেয়ে ভালো আপনি নিজেই নিজের যত্ন নিন। এই সবচেয়ে উত্তম। আপনার জীবনকে সহজ ও নিয়ন্ত্রিত করুন। তখন প্রিয় কোনো কাজে যুক্ত হলে আপনার উপকার হবে। যেমন বাগান করা।
৩০. কাউকে যদি তার স্মৃতিশক্তি হারানোর সমস্যা প্রতিদিনের কাজগুলো বা চাকরিতে সমস্যায় ফেলে, কাজ করতে না দেয়, তাহলে অন্যসব রোগের মতো চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে ভালো হতে।
৩১. তিনি আপনাকে ওষুধের পাশাপশি শারিরীক কাজ দেবেন ও সমস্যা সমাধানের যোগ্যতাগুলো বাড়ানোর চেষ্টা করবেন।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ