ত্বকের পরিচর্যায় যষ্টিমধুর ফেইস প্যাক
সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে নিয়মিত যত্ন নেওয়া আবশ্যক। কিন্তু কর্মব্যস্ত জীবনে নিয়মিত পার্লারে যাওয়া অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না। তাই বাড়িতেই বসে ঘরে থাকা উপকরণ দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন ফেসপ্যাক। ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদানের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। প্রকৃতির অবদানকে আসলে অস্বীকার করার উপায় নেই! ত্বকের পরিচর্যায় যষ্টিমধুর ব্যবহার খুবই কার্যকরী। অনেকেরই হয়তো যষ্টিমধুর গুনাগুণ নিয়ে বেশি কিছু জানা নেই। চলুন, ত্বকের পরিচর্যায় যষ্টিমধুর কার্যকরী তিনটি ফেইস মাস্ক সম্বন্ধে জেনে নেই। নিদাগ, চকচকে ও সুন্দর স্কিন পেতে এ উপাদানটি কী অবদান রাখে সেটাও জানা হয়ে যাবে!
আপনার ত্বক সম্পর্কে আগে জেনে নিন
যেকোনো উপাদান ত্বকে ব্যবহারের আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে সেটি আপনার ত্বকের জন্য উপযোগী কি না। ত্বকের ধরন ও সমস্যা অনুযায়ী যত্ন আলাদা আলাদা হতে পারে। আবার সংবেদনশীলতার প্রশ্নও থেকে যায়। ফেসপ্যাক বানানোর সময় এসব খেয়াল রাখতে হবে। বিশুদ্ধ উপাদান দিয়ে তৈরি প্যাক দিয়ে ত্বকের যত্ন নিতে পারলে সেটি খুবই ভালো।
যষ্টিমধু বহুবর্ষজীবী গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। এটি মূলত গাছের শিকড়। রুপচর্চায় এর কার্যকারিতা সম্পর্কে আগে জেনে নেই চলুন।
• এটি রোদে পোড়া ও পিগমেনটেশন কমাতে সাহায্য করে
• ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ধরে রেখে সতেজতা ফিরিয়ে দেয়
• মৃত কোষ ও ময়লা দূর করে
ত্বকের পরিচর্যায় যষ্টিমধু তিনটি ফেইস মাস্ক
রোদে পোড়া দূর করতে ফেইস মাস্ক বা ফেইস প্যাক
যষ্টিমধুর গুঁড়ার সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল, শসার রস ও টকদই দিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে ও গলায় লাগিয়ে রাখুন মিনিট ১৫। এরপর পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ বার এভাবে প্যাক লাগিয়ে নিলে রোদে পোড়া ও পিগমেন্টেশন অনেকটাই কমে যাবে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ফেইস মাস্ক
যষ্টিমধুর গুঁড়ার সঙ্গে গোলাপ জল, চন্দন গুঁড়া, সামান্য কমলা বা লেবুর রস ও টকদই মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিটের জন্য। সপ্তাহে অন্তত ১ বার এ ফেইস মাস্কটি ব্যবহার করলে ত্বক হবে উজ্জ্বল ও সুন্দর।
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ফেইস মাস্ক
নিষ্প্রাণ ও শুষ্ক ত্বকের সমাধানে যষ্টিমধুর সঙ্গে পরিমাণমতো দুধ, অ্যালোভেরা জেল, গোলাপের পাপড়ি গুঁড়া ও টকদই মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। এ প্যাকটি সপ্তাহে ১-২ দিন ব্যবহার করলে ত্বকের খসখসে ভাব কমে গিয়ে ত্বক থাকবে আর্দ্র ও কোমল। এ প্যাকগুলো গলায়, হাতে, পায়েও ব্যবহার করা যায়।
এসএন