স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায়
শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে ব্যায়াম বা শরীরচর্চার বিকল্প নেই। শরীরচর্চায় দেহের পেশির সঙ্গে মস্তিষ্কের আকারও বেড়ে যায়। ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের সিন্যাপসের সংখ্যা বাড়ে। এতে করে মগজে নতুন কোষ তৈরি হয়। এ ছাড়া বিশেষ ধরনের ব্যায়ামের ফলে মগজে বেশি করে অক্সিজেন ও গ্লুকোজ সরবরাহ হয়। আর খোলা জায়গায় ব্যায়াম করলে বাড়তি পাওনা হলো ভিটামিন ডি। শরীর চর্চার পাশাপাশি মস্তিষ্কের চর্চাও জরুরি। নতুন কিছু করার জন্য নতুন ধারণা নিয়ে কাজ করতে হবে। এতে মস্তিষ্ক সচল থাকবে। অনেকেই ‘সুডোকু’, ‘ক্রসওয়ার্ডস’ ইত্যাদি খেলেন, নিয়মিত যাতে মস্তিষ্কের চর্চা হয়।
এমন কিছু শরীরচর্চা রয়েছে, যা শরীর ও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। আসুন জেনে নিই সেগুলো-
দৌড়ানো
মস্তিষ্কের ‘হিপোক্যাম্পাস’ অংশে নতুন কোষ সৃষ্টিতে উপকারী ভূমিকা রাখে দৌড়ানো। নতুন কৌশল শেখা ও স্মৃতিশক্তির জন্য মস্তিষ্কের এ অংশই দায়ি। মস্তিষ্কের ‘হিপোক্যাম্পাস’ উন্নত হলে মানসিক চাপ সামলানোর ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যাবলী সম্পাদন ও যেকোনো কিছু মুখস্ত করার ক্ষমতাও বাড়ে এ শরীরচর্চার মাধ্যমে।
অ্যারোবিকস
মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্যের জন্য ‘অ্যারোবিকস’ ব্যায়াম খুবই উপকারী। সপ্তাহে ১৫০ ঘণ্টা ‘অ্যারোবিকস’ শরীরচর্চা করলে মস্তিষ্কেরও অনুশীলন হ। যেমন, ‘স্পেশিয়াল মেমরি পারফরমেন্স’ বাড়াতে ‘অ্যারোবিকস’ খুবই কার্যকর। এ ছাড়া স্মৃতিভংশ, হতাশাগ্রস্ত ও মানসিক অস্বস্তি ইত্যাদি ঝুঁকি কমাতেও এটি খুই প্রয়োজনীয় ব্যায়াম।
সাইকেল চালানো
সাইকেল চালানোর মাধ্যমে মস্তিষ্কের নতুন কোষ তৈরি হয়। এতে রক্ত সঞ্চালনও বাড়ে। ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও বাড়ে। রক্ত সঞ্চালন বাড়লে মানসিক রোগী শক্তিশালী হয়, মন-মেজাজ ভালো থাকবে। পাশাপাশি এ শরীরচর্চার মাধ্যমে মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী হরমোন ‘কর্টিসল’ ও ‘অ্যাড্রেনালিন’য়ের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ধ্যান
মস্তিষ্ক ভালো রাখার ক্ষেত্রে ‘মেডিটেইশন’ বা ধ্যান করার চাইতে উপকারী অনুশীলন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এতে মন শান্ত থাকে, মনোযোগ বাড়ে। মানসিক চাপ সামলানোর অত্যন্ত শক্তিশালী মাধ্যম এই ধ্যান।
খাবার
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে শরীরচর্চার পাশাপাশি খাবারের তালিকায় নজর দিতে হবে। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ডার্ক চকলেট, কফি, বাদাম, তৈলাক্ত মাছ, শস্য দানা, বিট, ব্রকলি, স্ট্রবেরি, টমেটো, কুমড়ার বীজ, ডিম, পালংশাক খুবই কার্যকর।
এসএন