নাজমুল হুদার শেষ সুযোগ
ঘুষ দাবির মিথ্যা অভিযোগ এনে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এসকে সিনহা) বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। কমিশনের করা ওই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেছেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। আদালত শেষবারের মতো তার সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেছে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল আজ সোমবার (৭ মার্চ)। এদিন নাজমুল হুদা আদালতে উপস্থিত হন। এসময় নাজমুল হুদা অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময় প্রার্থনা করেন।
এদিকে দুদক চার্জগঠন শুনানির জন্য প্রস্তুত ছিল। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক শেষবারের মতো সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ৬ এপ্রিল চার্জগঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করে। দুদকের আইনজীবী এম এ সালাউদ্দিন ইস্কান্দার কিং বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য গত ৭ অক্টোবর নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন। এরপর ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মেদ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিজের বিরুদ্ধে নিষ্পত্তি হওয়া একটি মামলার রায় বদলে দেওয়া হয়েছে ও উৎকোচ চাওয়া হয়েছে— এস কে সিনহার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় মামলা করেন নাজমুল হুদা।
মামলার অভিযোগপত্রে সে সময় নাজমুল হুদা দাবি করেন, উচ্চ আদালতে ডিসমিস করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়। মামলাটি ডিসমিস করতে দুই কোটি টাকা ও আরও একটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টির অর্ধেক অর্থাৎ এক কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেন সিনহা। তবে দেড় বছরের তদন্তে নাজমুল হুদার এ অভিযোগের কোনো প্রমাণ পায়নি দুদক।
মিথ্যা অভিযোগ করায় ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। আরেক পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মেদকে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।
মামলার বিষয়ে তৎকালীন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেছিলেন, নাজমুল হুদা যে মামলাটি করেছেন সেটি একেবারেই ভিত্তিহীন। দুদকের অনুসন্ধানেও আমরা সেটা প্রমাণ পেয়েছি। দুদক আইনের ২৮ এর ২ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন আর সেটি যদি তদন্তে বেরিয়ে আসে তাহলে অভিযোগ দায়েরকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে।
এমএ/