অর্থপাচার প্রতিরোধে এনবিআরকে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ
অর্থপাচার প্রতিরোধে গঠিত কমিটির সঙ্গে এনবিআরকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অর্থপাচারে জড়িতদের মধ্যে পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার (৬ মার্চ) এই আদেশ দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক এই তথ্য জানান।
রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী জানান, আজ তিনটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থপাচার প্রতিরোধের যৌথ অনুসন্ধান ও তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য, সিআইডি, দুদক ও বিএফআইইউ এর সমন্বয়ে সাত সদস্য বিশিষ্ট মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কমিটি গঠন করার পর কমিটির কাজ অব্যাহতভাবে চলছে। এর মধ্যে কমিটির অধীনে ৬টি অনুসন্ধান দল কাজ করছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
আইনজীবী বলেন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে এই কমিটির সঙ্গে এনবিআরকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কমিটিকে আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এদিন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। রিটের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস।
গত ৩০ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে অর্থপাচারে জড়িতদের মধ্যে পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চায় হাইকোর্ট। ৬ মার্চের মধ্যে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
আদেশে সুইস ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকের মাধ্যমে যারা বিদেশে অর্থপাচার করেছেন তাদের কত টাকা সেসব ব্যাংকে জমা আছে সে তথ্য এবং তাদের তালিকা হাইকোর্টে জমা দিতে বলেছেন আদালত।
৬ মার্চের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আজ এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
প্যারাডাইস ও পানামা পেপারসে নাম আসা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২৬ জানুয়ারি প্রতিবেদন আকারে জমা দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে কেলেঙ্কারিতে নাম আসা ৬৯ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের তালিকা এবং এর মধ্যে ১০ ব্যক্তি-পরিবারের বিষয়ে গৃহীত ব্যবস্থার তথ্য উল্লেখ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ জানুয়ারি এ বিষয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে শুনানি হয়।
এমএ/টিটি