যে যুক্তিতে সব আসামিকেই দণ্ড দিয়েছেন আদালত
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যার দায়ে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ মেধাবী শিক্ষার্থীকে দণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাদের ২০ জনকেই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি পাঁচজনকে দিয়েছেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
মামলার ২৫ আসামির সবাইকেই দণ্ড দেয়ার যুক্তিও তুলে ধরা হয়েছে রায়ে।
রায়ে আদালত পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বলেন, নিঃসন্দেহে সব আসামি পরস্পরের যোগসাজশে একে অপরের সহায়তায় শিবির সন্দেহে আবরার ফাহাদ-এর বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে নির্মম এবং নিষ্ঠুরভাবে তাকে হত্যা করেছে। যা বাংলাদেশের সব মানুষকে ব্যথিত করেছে।
আদালত বলেন, ‘বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর কখনও না ঘটে, তা রোধকল্পে এই ট্রাইব্যুনালে সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো।’
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আজ বুধবার (৮ ডিসেম্বর) আবরার হত্যা মামলার এই রায় ঘোষণা করে।
সংক্ষিপ্ত রায়ের শুরুতে বিচারক ঘটনা ও বিচারের ধারাবাহিকতা উল্লেখ করেন। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ শাস্তির প্রেক্ষাপট ও অভিন্ন অভিপ্রায়ের ব্যাখ্যা দিয়ে সব আসামিকে শাস্তির সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এরপর আদালত ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে রাজধানীতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ।
একই বছরের ১৩ নভেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান। চার্জশিটে ২৫ জনকে আসামি করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষী করা হয় ৬০ জনকে।
চার্জশিট দাখিলের পর ২০২০ সালের ১৫ মার্চ মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ স্থানান্তরের আদেশ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে আইন মন্ত্রণালয়। একই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর মামলাটি চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।
এমএ/এমএমএ/