বস্তিবাসীর ফ্ল্যাট: চসিক মেয়রকে আইনি নোটিশ
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ চারজনকে একটি আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বস্তিবাসীদের জন্য তৈরি করা ফ্ল্যাট তাদের বুঝিয়ে দিতে তাদের প্রতিনিধি রমজান আলী এ নোটিশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তার পক্ষে ব্যারিস্টার এম ইমতিয়াজ ফারুক এই নোটিশ পাঠান। নোটিশে ‘ফ্ল্যাটের জন্য টাকা দিয়ে পাহাড়ে বসবাস’ শিরোনামে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনও যুক্ত করা হয়। নোটিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
গত ২৯ জানুয়ারি ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, পাহাড়ের ঢালুতে ঝুঁকিতে বসবাসকারী দিনমজুর, ভিক্ষুক ও ছিন্নমূল গরিব মানুষকে ঘর করে দিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) সাততলা ভবন বানিয়েছে সাত বছর আগে। নিম্ন আয়ের ১৬১টি পরিবারকে পুনর্বাসনে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ফ্ল্যাট দেবে বলে ২০১৩ সালে তাদের পাহাড় থেকে উচ্ছেদ করা হয়। এর জন্য নেওয়া হয় ১০ হাজার করে টাকাও। কিন্তু সেই ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়নি সিটি করপোরেশন। তাই বাধ্য হয়ে বাটালি পাহাড়ের পাদদেশে থাকতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের ওই পরিবারগুলোকে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৫০ বর্গফুট আয়তনের এসব ফ্ল্যাটের জন্য বস্তিবাসীকে মাসে দুই হাজার টাকা দেওয়ার কথা। সেই হিসাবে ১৫ বছরে ফ্ল্যাটের নির্ধারিত মূল্য সাড়ে সাত লাখ টাকার সম্পূর্ণটাই পরিশোধ হবে। এরপর থেকে ফ্ল্যাটের মালিক হবেন বরাদ্দপ্রাপ্তরা। এ জন্য ৩৩টি পরিবার থেকে এককালীন অগ্রিম টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্প শেষে সেই ভবন গরিবদের না দিয়ে সিটি করপোরেশনের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছে।
এমএ/এমএমএ/