সিইসির বিরুদ্ধে গণসংহতি আন্দোলনের আদালত অবমাননার মামলা
উচ্চ আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকার পরেও গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন না দেওয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। মামলা নং ৭৮/২০২২।
বার্তায় বলা হয়, গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে। আবেদনের পরেপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সালে ১৯ জুন নিবন্ধন করা যাবে না বলে জানায়।
পরবর্তীতে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি মাননীয় উচ্চ আদালতে ১৩৮০৫/২০১৮ নং রিট মামলা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রিট মামলায় উচ্চ আদালত ২০১৯ সালের ১১এপ্রিল রায় প্রদান করেন এবং রায় ও আদেশের কপি প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন প্রদানের আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রদান করেন।
বার্তায় আরও বলা হয়, গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে রায় ও আদেশের সত্যায়িত কপি যথাসময়ে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হয় এবং আদালত থেকেও নিয়ম অনুযায়ী রায় ও আদেশের কপি প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতের সুস্পষ্ট রায় ও নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কোনোপ্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এরপর বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দলের পক্ষে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো ফল না পাওয়ায় ২০২১ সালে ১০ অক্টোবর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালত অবমাননার নোটিশ প্রেরণ করা হয়। নোটিশ প্রাপ্তির পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আজ ১০ ফেব্রুয়ারি গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে জোনায়েদ সাকি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চেয়ে আদালত অবমাননা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।