আদালতে চকলেট খেতে চাইলেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী
সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত
মিরপুর থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে। আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে কামাল মজুমদারসহ সাবেক কয়েকজন এমপি-মন্ত্রীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে হাজতখানায় রাখা হয়।
এরপর হাতকড়া, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেলমেট পরিয়ে তাদেরকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের দ্বিতীয় তলার ২৭ নম্বর আদালতে তোলা হয়। শুনানির এক ফাঁকে কাঠগড়ায় দাঁড়ানো কামাল আহমেদ মজুমদার এক পাশে গিয়ে তার পক্ষের এক আইনজীবীকে ডেকে চকলেট খেতে চান। কিছুক্ষণ পর শুনানির মাঝখানেই একজন আইনজীবী সাদা কাগজের ব্যাগে করে চকলেট আনেন।
চকলেট দেখে কাঠগড়ার এক পাশ থেকে আরেক পাশে একপ্রকার দ্রুত এসেই ব্যাগটা নিতে যান বৃদ্ধ কামাল মজুমদার। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে কাঠগড়ার পাশে নিরাপত্তায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা দেখে ফেললে। তারা চকলেট দিতে বাধা দিলে তিনি আর চকলেট নিতে পারেননি।
এরপর শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম জি এম ফারহান ইসতিয়াকের আদালত কামাল আহমেদ মজুমদারকে দুই হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
শুনানি শেষে পুনরায় হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার সময় কামাল আহমেদ মজুমদারকে চকলেট দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কামাল আহমেদ মজুমদারের আইনজীবী আল ইমরান (মুকুল) বলেন, ‘কামাল আহমেদ মজুমদারের চকলেট অনেক প্রিয়। এছাড়া তার সুগার লো হয়ে যায়। এজন্য চকলেট খেতে হয়। এজন্য তিনি চকলেট চেয়েছিলেন। কিন্তু এজলাসে তো আসামিকে কিছু দেওয়ার নিয়ম নেই। পরে বিধি মোতাবেক আইনজীবীর মাধ্যমে চকলেট পৌঁছে দেওয়া হয়।’
বাইরে থেকে খাবার দেওয়ার অনুমতি নেই জানিয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘চকলেট খেতে চাওয়া বা তাকে দেওয়া হয়েছে কি না আমার জানা নেই। তবে অগোচরে দেওয়া বেআইনি। খাবার বা চকলেট খাওয়ার পর আসামির কিছু হলে তো সরকারের ওপর দায় বর্তাবে। দায়িত্বরত পুলিশ ও ডিসি প্রসিকিউশন থেকে এ বিষয়ে কঠোর হওয়া উচিত।’