বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ১ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস

অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস। ছবি: সংগৃহীত

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে তাকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এই মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস পেয়েছেন।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদসহ আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি সর্বসম্মতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে সর্বোচ্চ আদালত এ রায় দেন।

রায়ে আদালত বলেছেন, প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এ মামলা করা হয়েছিল। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন খোকন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন। অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।

রায়ের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, সর্ব্বোচ আদালতে আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। এর আগে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি শেষ হয়।এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর চার কার্যদিবস শুনানি শেষে রায়ের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করা হয়। গত ৭ জানুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি শুরু হয়।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন হাইকোর্ট বিভাগ এ মামলায় খালেদা জিয়াকে যে সাজা দিয়েছেন তাতে আইনের মারাত্মক ব্যত্যয় হয়েছে। শুধু তাই নয় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের যে অর্থ আত্মসাতের কথা বলা হয়েছে সেই অর্থও সুরক্ষিত আছে সেই অ্যাকাউন্টে তা সুরক্ষিত আছে। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই এ রায় দেওয়া হয়।

গত বছরের ১১ নভেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেওয়া ১০ বছরের সাজা স্থগিত করেন আদালত। পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে আপিলের সারসংক্ষেপ দুই সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

গত সোমবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গত বছরের ৩ নভেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য ১০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন চেম্বার আদালত।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অরফানেজ ট্রাস্টের নামে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান।

একইসঙ্গে এই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ছয় আসামির প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

বাকি চার আসামি হলেন- সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক এমপি ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান। এর মধ্যে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।

এরপর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া, কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। পরে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ-টু আপিল করেন খালেদা জিয়া।

Header Ad
Header Ad

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রস্তাব জমা দিলো চার সংস্কার কমিশন

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রস্তাব জমা দিলো চার সংস্কার কমিশন। ছবি: সংগৃহীত

চারটি সংস্কার কমিশন তাদের প্রস্তাব অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কমিশন প্রধানরা এই প্রতিবেদনগুলো জমা দেন।

কমিশনগুলোর মধ্যে রয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন (নেতৃত্বে ড. বদিউল আলম মজুমদার), পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন (নেতৃত্বে সরফরাজ হোসেন), দুর্নীতি দমন কমিশন (নেতৃত্বে ড. ইফতেখারুজ্জামান) এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন (নেতৃত্বে ড. আলী রিয়াজ)।

প্রতিবেদন পাওয়ার পর সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরুর পরিকল্পনা করছে। চলতি মাসেই এ আলোচনা শুরু হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। সংস্কারের প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে বাস্তবায়নের বিষয়ে ঐকমত্য হলে সংলাপ থেকে একটি কার্যকর রূপরেখা তৈরি হতে পারে।

সরকার বিকেল ৩টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে দেশের গণতান্ত্রিক, প্রশাসনিক এবং সাংবিধানিক কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসতে পারে।

Header Ad
Header Ad

পারিশ্রমিক না পাওয়ায় দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটারদের অনুশীলন বয়কট

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা ও সিলেটের পর এবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামে মাঠে গড়ানোর অপেক্ষায় বিপিএল। চট্টগ্রাম পর্ব সামনে রেখে আজ (বুধবার) এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুশীলন করার কথা ছিল দুর্বার রাজশাহীর। দলটির তরফেও গণমাধ্যমকে এমনটাই জানানো হয়েছিল। তবে হঠাৎ করেই সেই অনুশীলন বাতিল হয়ে গেছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০ টা থেকে অনুশীলন করার কথা ছিল রাজশাহীর। তবে সকাল পৌনে এগারোটার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজকের অনুশীলন বাতিল করা হয়েছে।

দলের সূত্র জানিয়েছে, পারিশ্রমিক না পাওয়ায় তারা অনুশীলন বয়কট করেছেন। পারিশ্রমিক বাকি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও, অনুশীলন বাতিলের কারণ বলেনি রাজশাহী।

বিপিএলের শুরু থেকেই পারিশ্রমিক ইস্যু রাজশাহীর। জানা যায়, এক টাকাও না নিয়ে খেলতে নেমেছেন খেলোয়াড়েরা। পরে মালিকপক্ষ থেকে জানানো হয়, দ্রুতই টাকা শোধ করে দেবেন। ১৪ জানুয়ারি টাকা পরিশোধের শেষ সময় হলেও ক্রিকেটাররা অর্থ পায়নি। তাই তাদের এমন সিদ্ধান্ত।

রাজশাহীর স্থানীয় ক্রিকেটারদের এখনও কোনো পারিশ্রমিক শোধ দেয়নি ফ্রাঞ্চাইজিটির স্বত্বাধিকারী। বিদেশি কয়েকজন ক্রিকেটার ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক পেয়েছেন। শেষের পথে থাকা টুর্নামেন্টে এখনও টাকা না পাওয়ায় খেলোয়াড়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্বাধিকারী আশ্বস্ত করেছে, আগামীকালের মধ্যে কিছু পারিশ্রমিক দেবে তারা। রাজশাহীর টিম ম্যানেজার মেহরাব হোসেন অপি বলেছেন, রাজশাহী শুধু আজ বিশ্রাম নিয়েছে। তবে পারিশ্রমিক বকেয়ার কারণে অনুশীলন বাতিল কিনা, সেটি নিশ্চিত করেননি।

Header Ad
Header Ad

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউন গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপচয়ের অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার সিউল শহরের একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে।

তাকে গ্রেপ্তারের সময় প্রথমে তার নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হয় তদন্তকারী কর্মকর্তাদের। তবে শেষ পর্যন্ত তারা তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইউনের বাড়িতে অভিযান চালিয়েও তার নিরাপত্তা বাহিনীর বাধায় অভিযানটি ব্যর্থ হয়েছিল।

ইউন সুক ইউন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি অভিশংসনের পর গ্রেপ্তার হলেন।

ইউন তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন এবং বলেছেন, এগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ইউন। মাত্র ছয় ঘণ্টার মাথায় তাকে সেই আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়। এরপর ১৪ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট তাকে অভিশংসিত ঘোষণা করে এবং প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।

রাষ্ট্রদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও হাজির হতে অস্বীকৃতি জানান ইউন। এরপর ৩১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রস্তাব জমা দিলো চার সংস্কার কমিশন
পারিশ্রমিক না পাওয়ায় দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটারদের অনুশীলন বয়কট
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার
নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামী মারা গেছেন
ছাগল মতিউরকে ধরা হয়েছে, অন্যদেরও খুঁজে খুঁজে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২৪৫০ মেট্রিক টন চাল আমদানি
সারজিস আলমসহ ৪৫ জনের পাসপোর্ট জব্দের বিষয়ে যা জানা গেল
মসজিদুল হারামের প্রসিদ্ধ গাইড শেখ মোস্তফা দাব্বাগ মারা গেছেন
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
গোবিন্দগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি রবিউল, সম্পাদক আবু জাফর
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার
মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ আগুন, ৩ রিসোর্ট পুড়ে ছাই
এলপি গ্যাসের দাম বাড়ল
পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক
অপরাধী যেই হোক ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবি প্রধান
ভারত থেকে এক হাজার ১৩৭ কোটি টাকার ডিজেল কিনছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর কারাগারে
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এখন কোনো উত্তেজনা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এবার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইবি প্রশাসনের মামলা