সাহস থাকলে দেশে এসে মামলা মোকাবিলা করুন, শেখ হাসিনাকে অ্যাটর্নি জেনারেল
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত
জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা হয়েছে। এসব মামলার বিষয়ে শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘সাহস থাকলে দেশে এসে মামলার মোকাবিলা করুন। এখন তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আমি আশা করি শেখ হাসিনা দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হবেন।’
রবিবার (২০ অক্টোবর) সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের রিভিউ নিষ্পত্তির পর এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যুতে শেখ হাসিনাকে দেশে আনা হবে কি না জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করতে যদি শেখ হাসিনা কোথায় আছেন প্রসিকিউশন টিম জানতে পারে, তাহলে এক্সট্রাডিশন চুক্তির আওয়াতায় সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাকে আনা যেতে পারে। এছাড়া ইন্টারপোলের সহায়তা নেয়া যেতে পারে। অপরাধী যেই দেশে রয়েছেন সেই দেশের আইনে ইন্টারপোল কাভার করতে পারলে বিচার-বিশ্লেষণ করে তাকে আনা হতে পারে।’
শেখ হাসিনা নিজে ট্রাইব্যুনালে হাজির হবে কিনা জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে প্রায়ই বলতেন, সাহস থাকলে দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হতে। আশা করি এটা উনি বিশ্বাস করেন এবং এটিই উনার জন্য ভালো। প্রত্যেকটা আসামির উচিত আদালতে এসে বিচারের মুখোমুখি হওয়া। উনি হয়তো সেটাই করবেন।’
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের বিচারিক কার্যক্রম শুরুতেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এদিকে আরেক মামলা ওবায়দুল কাদেরসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি জারি করা হয়।