রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৪ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রতি কেজি ইলিশ ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

প্রতি কেজি ইলিশ ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশের জনগণের জন্য প্রতি কেজি ইলিশ মাছের খুচরা বিক্রয় মূল্য সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা কেজি নির্ধারণ চেয়ে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রককে বিবাদী করা হয়েছে।

নোটিশে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ইলিশ মাছের পাইকারি ও খুচরা বাজার মনিটরিং করা, ইলিশ মাছ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচাররোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার বিষয়ে লিখিতভাবে ভারতকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া। এছাড়া ভবিষ্যতে যেকোনো দেশে ইলিশ মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে যেন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ মূলত বঙ্গোপসাগরের মাছ। মহান আল্লাহ প্রদত্ত এই ইলিশ মাছ বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের চেয়ে ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা অনেক বেশি বিস্তৃত। ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমায় প্রচুর ইলিশ মাছ উৎপাদন হয়। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন নদীতেও ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। এই ইলিশ মাছ সাগরের মাছ হলেও ডিম পাড়ার জন্য যখন ইলিশ পদ্মা নদীতে আসে, তখন ইলিশ মাছ পদ্মার বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে পরিপুষ্ট হয় এবং প্রাকৃতিকভাবে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে উঠে। মূলত পদ্মা নদীর ইলিশ মাছই স্বাদে ও গন্ধে উৎকৃষ্ট। ফলে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ যখন রান্না করা হয় তখন এর সুঘ্রাণ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু ইলিশ মাছ সাগরের মাছ তাই এই মাছ পুকুরে বা অন্য কোনো স্থানে চাষ করতে হয় না। ফলে ইলিশের কোনো ধরনের উৎপাদন খরচ নেই। এটি শতভাগ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মাছ। বাংলাদেশে রুই, কাতলাসহ যেসব মাছ চাষ করা হয় তা বাজারে কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ৫শ টাকাতে খুচরা বিক্রয় করা হয়। বাংলাদেশে ভারতীয় এজেন্টরা ও মাছ রপ্তানিকারকরা সারা বছর পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ মজুদ করে রাখে। বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করে এবং ক্ষেত্রবিশেষে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচার করে। বাংলাদেশের পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি ও পাচার হওয়ার কারণে বাংলাদেশের জনগণ জাতীয় মাছ হওয়া সত্ত্বে বাজারে গিয়ে পদ্মা নদীর ইলিশ পায় না। ফলে বাংলাদেশের জনগণকে সামুদ্রিক ইলিশ খেতে হয়, যা পদ্মার ইলিশ মাছের মতো সুস্বাদু নয়।

বাংলাদেশে ইলিশ সুরক্ষায় তিন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা থাকে। এর মধ্যে অক্টোবরে ২২ দিন। এ সময় মা মাছের ডিম ছাড়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর বাচ্চা হলে তার সুরক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাস নিষেধাজ্ঞা থাকে। মাছের বাড়ানোর জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই আবার এক দফায় সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকে। অন্যদিকে ভারতে নিষেধাজ্ঞা থাকে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত। ১৫ জুন শুরু হয় তাদের মাছ ধরা। বাংলাদেশে ইলিশ মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার সুবিধা পাচ্ছেন ভারতের মৎস্যজীবীরা। এক মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে চলা নিষেধাজ্ঞার সময় ভারতে ব্যাপকভাবে ইলিশ মাছ ধরা হয়। এতে বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে বেশি ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা তাই অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এই বিষয় নিয়ে এখনো ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বাংলাদেশ। নোটিশ প্রাপকদের দায়িত্বে অবহেলার ফলে বাংলাদেশের জনগণ কম দামে বড় আকারের সুস্বাদু পদ্মার ইলিশ মাছ তথা জাতীয় মাছ খাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমগুলোতে জাতীয় মাছ ইলিশের দাম বাংলাদেশের জনগণের ক্রয়সীমার বাইরে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারিত হওয়ার পর ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার কারওয়ান বাজারে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে অভিযান পরিচালনা করে। সেই সময় হঠাৎ করেই অভিযান পরিচালনার স্থানে দাম কমে যায় ইলিশ মাছের। অথচ জাতীয় মাছ ইলিশ নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশ করে এক শ্রেণির মৎস্য ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে মনোপলি কর্মকাণ্ড করলেও নোটিশ প্রাপকরা প্রতি কেজি ইলিশের সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে বাংলাদেশের জনগণকে সুলভে জাতীয় মাছ ইলিশ খাওয়ানোর ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি।

নোটিশে আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার আরও বলেছেন, বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রতি কেজি ইলিশ ১০ মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ১৮০ টাকা দরে রপ্তানি শুরু হয়েছে। ভারতে যেই দামে ইলিশ মাছ রপ্তানি হচ্ছে, তার চেয়ে প্রতি কেজিতে কমপক্ষে ৯শ টাকা বেশি খরচ করতে হচ্ছে বাংলাদেশের ভোক্তাদের। ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগে তৈরি করা। এছাড়া বাংলাদেশের রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী, ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রপ্তানিযোগ্য কোনো পণ্য নয়। এই মাছ রপ্তানি করতে চাইলে যথাযথ শর্ত পূরণ করতে হবে। তাই ইলিশ মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশীয় বাজারদরের চেয়ে বেশি মূল্যে রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা উচিত ছিল। বাংলাদেশের জনগণ যেখানে প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ১৯০০-২৪০০ টাকায় খুচরা বাজারে কিনছে সেখানে ভারতে রপ্তানি মূল্য কীভাবে ১১৮০ টাকা হতে পারে? এর ফলে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই ক্ষেত্রেও নোটিশ প্রাপকরা চরম দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে রাষ্ট্র ও জনগণের ক্ষতিসাধন করেছেন।

Header Ad

হিজবুল্লাহর পরবর্তী প্রধান: হাশেম সাফিদ্দিন না নাইম কাশেম?

হাশেম সাফিদ্দিন ও নাইম কাসেম। ছবি: সংগৃহীত

লেবাননভিত্তিক হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি-জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর পর সংগঠনটির ভবিষ্যত নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইসরাইলি বিমান হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর আন্দোলনটিতে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। নাসরুল্লাহ শুধু একজন নেতা ছিলেন না, তিনি লেবাননের শিয়া সম্প্রদায় ও বৃহত্তর অঞ্চলের জন্য এক প্রতীকী ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

১৯৯২ সালে মাত্র ৩০ বছর বয়সে হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি-জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নাসরুল্লাহ। তার দীর্ঘ নেতৃত্বে সংগঠনের প্রায় পুরো অস্তিত্বকাল কেটেছে। তাই তার মতো একজন যোগ্য উত্তরসূরী পাওয়া সংগঠনের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এর মধ্যে ইসরাইলি হামলার অব্যাহত হুমকির কারণে, বিশেষ করে দক্ষিণ লেবাননে সম্ভাব্য স্থল হামলার আশঙ্কায়, নতুন নেতা নির্বাচন এবং নেতৃত্বের ভার নেওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে।

এই মুহূর্তে হিজবুল্লাহর পরবর্তী প্রধান হিসেবে দুজনের নাম সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে- হাশেম সাফিদ্দিন ও নাইম কাশেম। তাদের পরিচয় ও সম্ভাব্য নেতৃত্বের গুণাবলি এখানে তুলে ধরা হলো:

হাশেম সাফিদ্দিন: হাশেম সাফিদ্দিন হিজবুল্লাহর নির্বাহী পরিষদের প্রধান এবং নাসরুল্লাহর কাজিন। তিনিই পরবর্তী সেক্রেটারি-জেনারেল হিসেবে সবচেয়ে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত।

১৯৬৪ সালে লেবাননের টায়ারের কাছে দির কানুন আন-নহর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সাফিদ্দিন। তিনি ইরাকের নাজাফ ও ইরানের কোমের শিয়া ধর্মতত্ত্বের প্রধান কেন্দ্রে নাসরুল্লাহর সাথেই ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করেন। হিজবুল্লাহ প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকে থেকেই তিনি এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত।

সাফিদ্দিনের পরিবার লেবাননের প্রখ্যাত শিয়া ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের পরিবার হিসেবে পরিচিত। তার ভাই আবদুল্লাহ ইরানে হিজবুল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন এবং তার ছেলে রেধা ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মেয়েকে বিয়ে করেছেন। ইরানের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং নির্বাহী পরিষদে শীর্ষস্থানীয় ভূমিকা তাকে পরবর্তী নেতা হিসেবে শক্তিশালী প্রার্থী করেছে।

সাফিদ্দিন হিজবুল্লাহর শূরা কাউন্সিল এবং জিহাদি কাউন্সিলেরও প্রধান। তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

নাইম কাশেম: নাইম কাশেম হিজবুল্লাহর ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। তাকে প্রায়ই সংগঠনের ‘২ নম্বর ব্যক্তি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।

১৯৫৩ সালে দক্ষিণ লেবাননের নাবাতি এলাকার কফর কিলায় জন্মগ্রহণ করেন কাশেম। শিয়া রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৭০-এর দশকে তিনি ইমাম মুসা আল-সদরের নেতৃত্বাধীন মুভমেন্ট অব ডিসপোসেসড-এ যোগ দেন, যা পরবর্তীতে আমল মুভমেন্টে পরিণত হয়।

তিনি ১৯৮০-এর দশকে আমল ত্যাগ করে হিজবুল্লাহর প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। কাশেম শিয়া রাজনৈতিক চিন্তাবিদ আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ হোসাইন ফাদলাল্লাহর একজন শিষ্য ছিলেন এবং বৈরুতে ধর্মীয় শিক্ষাও দিয়েছেন।

কাশেম ১৯৯১ সালে হিজবুল্লাহর ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল নির্বাচিত হন। তিনি সংগঠনের শিক্ষা নেটওয়ার্ক এবং পার্লামেন্টারি কার্যক্রমও তদারকি করতেন। তার লেখা বই “হিজবুল্লাহ: দি স্টোরি ফ্রম উইদিন” কয়েকটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

এখন দেখা যাবে, হিজবুল্লাহর পরবর্তী নেতৃত্বে কে আসবেন এবং সংগঠনটি নতুন নেতৃত্বের অধীনে কোন পথে এগোবে। সূত্র : আল জাজিরা

বছরের শেষ বিরল সূর্যগ্রহণ বুধবার, দেখা যাবে যেসব দেশ থেকে

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

এ বছরের দ্বিতীয় এবং শেষ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে আগামী বুধবার (২ অক্টোবর)। জ্যোতির্বিদদের বরাত দিয়ে স্পেট ডটকম জানিয়েছে, সূর্যগ্রহণের দিন চাঁদে তুলনামূলক ছোট দেখাবে। এই সূর্যগ্রহণটি পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হবে না বরং এটি একটি বলয়াকার সূর্যগ্রহণ হবে। যাকে রিং অফ ফায়ারও বলা হয়। এই সময় সূর্যগ্রহণের কারণে আকাশে কোথাও কোথাও আগুনের বলয় দেখা যাবে। খবর এনডিটিভি

সূর্যগ্রহণটি রিং অব ফায়ারে পরিণত হলে সেটি ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে। আগামী ২ অক্টোবর গ্রহণটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪৩ মিনিট ৬ সেকেন্ডের দিকে গ্রহণটি শুরু হবে এবং গ্রহণ শেষ হবে রাত ৩টা ১৬ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে।

বিরল এই সূর্যগ্রহণটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে দেখা যাবে। বিশেষ করে দক্ষিণ চিলি এবং দক্ষিণ আর্জেন্টিনা থেকে এর দেখা মিলবে। বাংলাদেশে গ্রহণটি দেখা যাবে না।

বিজ্ঞানীদের মতে, সূর্য, চাঁদ এবং পৃথিবী যখন একটি সরলরেখায় আসে, তখন সূর্যগ্রহণ ঘটে। অর্থাৎ ঘুরতে ঘুরতে চাঁদ যখন সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চলে আসে তখন সূর্যের আলো পৃথিবীতে পড়ে না, যাকে সূর্যগ্রহণ বলে।

চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে এর দূরত্বও পরিবর্তিত হয়। কখনো চাঁদ পৃথিবীর কাছাকাছি থাকে আবার কখনো দূরে। চাঁদ যখন পৃথিবীর কাছাকাছি থাকে তখন বড় দেখায় এবং দূরে গেলে ছোট দেখায়। যদি সূর্যগ্রহণের সময় চাঁদ পৃথিবীর কাছাকাছি থাকে, তবে তার বড় আকারের কারণে এটি পৃথিবী থেকে সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলে। একই সময়ে, যখন এটি অনেক দূরে থাকে, তার ছোট আকারের কারণে এটি কেবল সূর্যের মাঝখানের অংশকে ঢেকে রাখতে সক্ষম হয়। যার কারণে সূর্যের ধার দেখা যায়, যা আকাশে আগুনের বলয় তৈরি করে। একে বলে রিং অফ ফায়ার। আগুনের বলয়টি সম্পূর্ণ হতে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় লাগতে পারে, তবে প্রকৃত রিং অফ ফায়ার কয়েক সেকেন্ড থেকে ১২ সেকেন্ডের মধ্যে দেখা যায়।

খৈয়াছড়া ঝরনায় পর্যটক প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনায় সংস্কারকাজ ও পর্যটকদের সুরক্ষার জন্য সাময়িকভাবে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বারৈয়াঢালা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা আশরাফুল আলম।

তবে উত্তর বন-বিভাগের অধীন অন্য ঝরনায় পর্যটকদের প্রবেশ স্বাভাবিক থাকবে। ঝরনায় ভ্রমণের সময় বন বিভাগের কর্মচারী অথবা ট্যুরিস্ট গাইড সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণ করার অনুরোধ জানিয়েছে বন বিভাগ।

চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বারৈয়াঢালা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, চলমান বিরূপ আবহাওয়া এবং সংস্কারকাজের জন্য খৈয়াছড়া ঝরনাটি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে এ ঝরনায় পাথর পড়ে এক ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পানি এসে পাথরগুলো ভেঙে পড়ছে। যে কারণে ঝরনা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ পাথর সরানোর কাজ চলছে। এজন্য সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

হিজবুল্লাহর পরবর্তী প্রধান: হাশেম সাফিদ্দিন না নাইম কাশেম?
বছরের শেষ বিরল সূর্যগ্রহণ বুধবার, দেখা যাবে যেসব দেশ থেকে
খৈয়াছড়া ঝরনায় পর্যটক প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা
মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ৮৫ বাংলাদেশি, ফেরত গেলেন ১২৩ বিজিপি-সেনা সদস্য
মেসির গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়লো মায়ামি
আত্মসমর্পণের পর কারাগারে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান
প্রতি কেজি ইলিশ ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে ‘টাইগার রবি’কে, হতে পারেন নিষিদ্ধ
কুষ্টিয়ায় কোরআন পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে প্রাণ গেল ৩ স্কুলছাত্রীর
নেপালে ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধসে ১১২ জনের মৃত্যু
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ
দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
খুলনায় বিএনপির ৪ নেতাকে বহিষ্কার
শেখ হাসিনা ক্ষমতার লোভে সুস্পষ্ট গণহত্যা চালিয়েছে: মাসুদ সাঈদী
দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা
সব পর্যায়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে হবে: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
দর্শনা যৌথবাহিনীর হাতে ফেন্সিডিলসহ জামাই-শাশুড়ি আটক
পাকিস্তানকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নির্বাচিত সরকারই কেবল দেশে উন্নয়নের নতুন ধারা সৃষ্টি করতে পারে: তারেক রহমান