মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আশুলিয়ায় ৪৬ লাশ পোড়ানোর ঘটনায় ২১ পুলিশের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

সাভারের আশুলিয়ায় আন্দোলনরত ৪৬ জনকে গুলি করে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী, ২১ পুলিশ সদস্যসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৩৬ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় মানারত ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র নিহত আহনাফ আবীর আশরাফুল্লাহর বোন সাইয়েদা আক্তারের পক্ষে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান।

এ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৯টি অভিযোগ দেওয়া হলো।

এর আগে ঢাকায় সাতটি এবং চট্টগ্রামে একটি গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ বিভিন্নজনের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। যেগুলোর ওপর তদন্ত চলমান রেখেছে আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

অপরাধের ধরনে বলা হয়েছে, এক থেকে পাঁচ ও সাত থেকে দশ নং আসামির নির্দেশ ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠনের অপরাধ।

যাদের আসামি করা হয়েছে

আবেদনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ আলী আরাফাত, সাভার-আশুলিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, তৎকালীন সরকারের কতিপয় মন্ত্রী, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত এসপি মোবাশ্বিরা জাহান, সাবেক এসপি আব্দুল্লাহহিল কাফি, ঢাকা জেলা উত্তরের সাবেক ডিবি পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র, ওসি এএফএম সায়েদ আহমেদ, এসআই আফজালুল, এসআই জলিল, এসআই মো.রাকিবুল, এসআই আবুল হাসান, এসআই হামিদুর রহমান, এসআই নাসির উদ্দিন, এসআই আব্দুল মালেক, এএসআই সুমন চন্দ্র গাইন, এএসআই বিশ্বজিৎ রায়, কন্সটেবল মুকুল, কনস্টেবল রেজাউল করিমসহ কতিপয় পুলিশ সদস্য, আশুলিয়া থানার আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন ওরফে তুহিন কুলু, ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি নাদিম হোসেন, যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরদার, ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি মো.শামীম হোসেন, যুবলীগের আলমগীর হোসেন, ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ, সেক্রেটারি টিটু, সাভার ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, সাভার আওয়ামী লীগের আলী হায়দারসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্যদের আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইলে ছাত্র-জনতার মিছিলে ১ থেকে ১২ নম্বর আসামির নির্দেশে ১৩ থেকে ৩৬ নম্বর আসামি নির্বিচারে গুলি চালালে আহনাফসহ ৪৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। গুলিবিদ্ধ লাশগুলো ১৩ থেকে ১৬ নম্বর আসামিসহ অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্যরা ময়লার বস্তার মতো করে ভ্যানে তোলে। একই সঙ্গে থানার পাশে পুলিশের একটি গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে তাদের লাশ পুড়িয়ে গণহত্যার নির্মম ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।

Header Ad

উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেফতার

ঢাকা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আজ রাতে উত্তরা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ অনেকগুলো মামলা আছে। গ্রেফতারের পর কামরুল ইসলামকে মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। তখন থেকেই অনেক আওয়ামী লীগ নেতার মতো আত্মগোপনে ছিলেন কামরুল ইসলাম।

২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন কামরুল ইসলাম। এর আগে, তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।

Header Ad

নতুন করে কার প্রেমে মজলেন পরীমনি!

চিত্রনায়িকা পরীমনি। ছবি: সংগৃহীত

চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়েই এখন চলছে পরীমনির সংসার। বর্তমানে ‘সিঙ্গেল মাদার’ হিসেবে সন্তানদের বড় করে তুলছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে প্রেম, বিয়ে কিংবা বিচ্ছেদের কারণে বহুবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। ফের পরীর প্রেমের খবরে তোলপাড় নেটদুনিয়া।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) ভোর রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন পরীমনি। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, আমি আবারও প্রেমে পড়েছি।’ সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন লাভ ও বাটারফ্লাই ইমোজি।

চিত্রনায়িকা পরীমনি। ছবি: সংগৃহীত

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, চলন্ত গাড়িতে কারও হাতের ওপর হাত রেখেছেন পরীমনি। যদিও নায়িকার পাশে থাকা পুরুষটির চেহারা প্রকাশ করেননি তিনি। ভিডিওটি দেখার পর থেকেই ভীষণ উচ্ছ্বসিত পরীমনির ভক্ত-অনুরাগীরা। প্রিয় নায়িকার জীবনে নতুন কারও আবির্ভাব যেন খুব স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন তারা।

নেতিবাচক মন্তব্যও ভিড় করেছে পরীমনির কমন্টেসবক্সে। কারণ, বছরজুড়েই নানান সাক্ষাৎকারে নায়িকার মুখে শোনা যায় নতুন কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো তার পক্ষে সম্ভব না। দাম্পত্য জীবনে যে কষ্ট সহ্য করেছেন, যে খারাপ সময় পেরিয়ে এসেছেন সেই কাঁটা রাস্তায় আর পা ফেলবেন না তিনি। আর কোনো সম্পর্কের মায়ায় নিজেকে জড়াতে চান না পরীমনি।

 

ডিভোর্সের পর থেকে বারবার একটা কথাই তিনি জানিয়েছিলেন যে, ছেলে-মেয়ে তার দুটি ডানা। নতুন সম্পর্কের দরকার নেই পরীর। এমনকি ওই মানুষটির ছায়াও আর মাড়াতে চান না তিনি। অথচ বছর না পেরোতেই সুর পাল্টে ঠিকই নতুন প্রেমে মজেছেন এই নায়িকা।

গত বছর দাম্পত্য জীবনের টানাপোড়েনে ভেঙে যায় রাজ-পরীমনির সংসার। বিচ্ছেদের পর থেকে ছেলেকে নিয়ে একাই দিন পার করছিলেন তিনি। এসবের মাঝেই তার জীবনে আগমন ঘটে ছোট্ট আরেক পরীর। যাকে নিজের মেয়ের পরিচয়ে দত্তক নেন পরীমনি। বর্তমানে দুই সন্তানকে নিয়ে বেশ সুখেই জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি কাজও করছেন তিনি। এবার নায়িকার জীবনে এসেছে ভালোবাসার নতুন মানুষ।

Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তিতে বাধা থাকছে না

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের সঙ্গে ২০১৫ সালে ছিন্ন করা সম্পর্ক পুনরায় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তিতে আর কোনো বাধা রইলো না।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের যে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ছিল তা গত বুধবারের সিন্ডিকেট সভায় প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপাচার্য বিষয়টি অনুমোদন দিলে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক সম্পর্ক ছিল সেগুলো আবারও চালু হবে। পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সভা সেমিনার করতে যেতে পারবে।

গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় পাকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঢাবির সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে জোরদার করার কথা বলেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেফতার
নতুন করে কার প্রেমে মজলেন পরীমনি!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তিতে বাধা থাকছে না
ভারতীয় চ্যানেল ‘রিপাবলিক বাংলা’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট
পুলিশ ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক পরিচয় না দেখার সুপারিশ
পা‌কিস্তানের হাইক‌মিশনারের সেল‌ফিতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো হবে শহীদদের নামে: তারেক রহমান
আবারও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হলেন হরিণী অমরাসুরিয়া
শেখ হাসিনার নতুন ফোনালাপ ফাঁস, প্রবাসীদের নিয়ে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র!
এস আলমের শেয়ার বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করবে ইসলামী ব্যাংক
অন্তর্বর্তী সরকার যত বেশি সময় নেবে, তত বেশি সমস্যা তৈরি হবে: মির্জা ফখরুল
ট্রেলারেই রেকর্ড গড়ল ‘পুষ্পা ২’
হাতজোড় করে দোয়া চাইলেন জুনাইদ আহমেদ পলক
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে উপদেষ্টা হাসান আরিফ, করলেন কবর জিয়ারত
ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই: প্রধান উপদেষ্টা
সরকার চাইলে তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে সহায়তা করবে যুক্তরাজ্য
সৌদি আরবে কনসার্ট করবেন জেমস
৩০ দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে অডিও বার্তা, পত্নীতলায় সুমন হত্যা ঘিরে রহস্য
গিলেস্পিই থাকছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ