প্রধান বিচারপতি হলেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ
সৈয়দ রেফাত আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে সৈয়দ রেফাত আহমেদকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিন। শনিবার (১০ আগস্ট) আইন ও বিচার শাখার উপসচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মাহমান্য রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের- ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো। এতে আরও বলে হয়, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এই নিয়োগ শপথের তারিখ হতে কার্যকর হবে।
শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রধান বিচারপতির নিয়োগ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। রোববার (১১ আগস্ট) সকালে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ শপথ নেবেন বলে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
বিচারপতি রেফাত আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ওয়াদাম কলেজে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ফ্লেচার স্কুল অফ ল’ অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি অব টাফ্টস ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স এবং পিএইচডি সম্পন্ন করেন। সৈয়দ রিফাত আহমেদ ১৯৮৪ সালে ঢাকা জেলা আদালতের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন।
তিনি ১৯৮৬ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন। তিনি হংকং এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ২৭ এপ্রিল ২০০৩ সালে বাংলাদেশ হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন। ২৭ এপ্রিল ২০০৫ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর থেকে হাইকোর্ট বিভাগেই দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের ছেলে। তার মা জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ।
এর আগে দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের মুখে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করলেন ওবায়দুল হাসান। পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, ‘সুপ্রিমকার্ট বিল্ডিং এবং এর রেকর্ডসমূহ রক্ষা, কোর্ট প্রাঙ্গণ রক্ষা, বিচারপতিদের বাড়িঘর, জাজেজ টাওয়ার রক্ষা, বিচারপতিগণকে শারীরিক হেনস্থা থেকে রক্ষা করা এবং জেলা জজ কোর্টগুলো ও রেকর্ড রুমসমূহ রক্ষার স্বার্থে আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হলো।’
এরপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতি পদত্যাগ করেন। তারা হলেন- বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন। শনিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় আইন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তারা।