মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জাবিতে ধর্ষণের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীসহ দুজনের দোষ স্বীকার

ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মামুনুর রশিদ মামুন ও তার সহযোগী মো. মুরাদ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়ার থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. মিজানুর রহমান আসামিদের আদালতে হাজির করে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুজাহিদুল ইসলামের আদালত তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। আশুলিয়া থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর মো. মাসুদ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি মামুনকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে এবং মুরাদকে নওগাঁ থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

এদিকে এ মামলায় ৮ ফেব্রুয়ারি অপর চার আসামি- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগর, ৪৬তম ব্যাচের সাগর সিদ্দিক ও ৪৫তম ব্যাচের হাসানুজ্জামানকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ আবাসিক হলের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে কৌশলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে আসামি মোস্তাফিজ ও মামুনুর রশীদ মামুন। ওই ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী রাতেই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন।

Header Ad

এবার ৬৫৪ কোটি টাকায় দুবাইয়ে বাড়ি কিনলেন নেইমার

ব্রাজিলের ফুটবল তারকা নেইমার। ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীর সব ধনীরাই বর্তমানে দুবাইয়ে বাড়ি কিনছেন। এ শহরটি যেন বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গায় পরিণত হচ্ছে দিন দিন। দুবাইয়ে বাড়ি কেনার তালিকায় এবার যুক্ত হলেন ব্রাজিলের ফুটবল তারকা নেইমার।

দুবাইয়ের বুগাতি রেসিডেন্সে ৫ কোটি ৪৫ লাখ ডলারে এক পেন্ট হাউস (ভবনের ওপরের কক্ষ বা ফ্ল্যাট) কিনেছেন নেইমার। প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ১২০ টাকা হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এই পেন্ট হাউসের দাম পড়েছে ৬৫৪ কোটি টাকা।

তবে দুবাইয়ে এই ফ্ল্যাট কেনার বিষয়টি গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন নেইমারের এজেন্ট।

জানা যায়, বুগতি রেসিডেন্স নামের সেই ভবনের বিলাসবহুল এই অ্যাপার্টমেন্টে সরাসরি গাড়ি নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সঙ্গে আছে সুইমিং পুল। অ্যাপার্টমেন্ট থেকে দুবাই শহরের মনোরম দৃশ্য দেখা যায়।

বিলাসবহুল এই ভবনে ভূমধ্যসাগরের রিভিয়েরা অঞ্চলের আদলে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম সৈকত; আছে সুইমিং পুল, ফিটনেস ক্লাব, গাড়ি পার্কিংয়ের বিলাসবহুল ব্যবস্থা।

এছাড়া ব্যক্তিগত পরিবহনসেবা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা থাকবে। এসব সেবা কেবল ভবনের বাসিন্দাদের জন্য। ভবনটির নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। এর নির্মাণকাজ শেষ হতে আরও সাড়ে তিন বছর সময় লাগবে।

দুবাই শহরে বিনিয়োগ করার সক্ষমতা থাকলেই বাড়ি কেনা যায়। টাকা থাকলেই হলো, এর বাইরে আর কিছু খোঁজে না আরব আমিরাতের কর্তৃপক্ষ। সে কারণে দুবাই এখন সাধারণ বহুজাতিক নয়, বরং তা বিদেশিদের শহর হয়ে গেছে।

তিন মিলিয়নের বেশি বা ৩০ লক্ষাধিক মানুষের দুবাই শহরে আমিরাতিরা সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে, তারা এখন মোট জনসংখ্যার মাত্র ৮ শতাংশ। অর্থমূল্যের বিবেচনায় দুবাই শহরের আবাসন খাতের ৪৩ শতাংশই এখন বিদেশিদের দখলে।

উল্লেখ্য, নেইমার তার ফুটবল ক্যারিয়ারের বড় একটা সময় কাটিয়েছেন ইউরোপের লিগে খেলে। স্পেনের বার্সেলোনা ও ফ্রান্সের পিএসজিতে খেলার পর ২০২৩ সালে এসে দুই বছরের চুক্তিতে সৌদি আরবের আল হিলাল ক্লাবে নাম লেখান তিনি।

Header Ad

৩ দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করতে তিন দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট। আজ (মঙ্গলবার) বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।

বর্তমানে রাজধানীতে প্রায় ১২ লাখ রিকশা চলাচল করে, যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ব্যাটারিচালিত। পুরোনো প্যাডেলচালিত রিকশাগুলোকেও অনেক ক্ষেত্রে ব্যাটারি সংযোজন করে যান্ত্রিক করা হচ্ছে। এসব রিকশা মূলত রাজধানীর অলিগলিতে বেশি দেখা গেলেও সুযোগ পেলে বড় সড়কগুলোতেও চলাচল করে।

ঢাকার খিলগাঁও, মান্ডা, বাসাবো, মানিকনগর, রামপুরা, বাড্ডা, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, সবুজবাগ, শ্যামপুর, ডেমরা, মোহাম্মদপুর, বছিলা, উত্তরা, ভাটারা, দক্ষিণখান, উত্তরখান, ময়নারটেক, মিরপুর এবং পল্লবী এলাকাগুলোতে ব্যাটারিচালিত রিকশার আধিক্য লক্ষ্য করা যায়।

ব্যাটারিচালিত রিকশা যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবেশগত সমস্যার কারণ হয়ে উঠছে। এসব কারণে হাইকোর্ট এই পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন। নির্দেশ কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

হাইকোর্টের এই আদেশ কার্যকর হলে ঢাকার রাস্তায় যানজট কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এই নির্দেশ বাস্তবায়নে চালকদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে, কারণ তাদের অনেকের জীবিকা নির্ভর করে এই ব্যাটারিচালিত রিকশার ওপর।

Header Ad

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা তিতুমীরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা তিতুমীরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ছবি: সংগৃহীত

সৈয়দ মীর নিসার আলী তিতুমীর (১৭৮২-১৮৩১) ছিলেন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের এক কিংবদন্তি নেতা। জমিদার ও ব্রিটিশ শাসকদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম আজও বাংলার ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। বাঁশের কেল্লার নির্মাতা হিসেবে তিনি বাঙালির স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। ১৮৩১ সালের ১৯ নভেম্বর ব্রিটিশ সেনাদের আক্রমণে নারকেলবাড়িয়ার সেই ঐতিহাসিক বাঁশের কেল্লায় যুদ্ধরত অবস্থায় শহীদ হন তিনি।

তিতুমীরের জন্ম ১১৮৮ বঙ্গাব্দের ১৪ মাঘ (১৭৮২ খ্রিস্টাব্দ) পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বশিরহাট মহকুমার চাঁদপুর গ্রামে। তার পরিবার নিজেদের হজরত আলীর (রা.) বংশধর হিসেবে পরিচয় দিতেন। তিনি বাংলা, আরবি ও ফার্সি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন এবং ইসলামি ধর্মশাস্ত্র, আইন, দর্শন ও তাসাওয়াফসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।

১৮২২ সালে তিনি পবিত্র হজব্রত পালনের জন্য মক্কায় গমন করেন। সেখানে তিনি বিখ্যাত ইসলামি সংস্কারক ও বিপ্লবী নেতা সাইয়িদ আহমদ বেরলভির সান্নিধ্যে আসেন। সাইয়িদ আহমদ তাকে বাংলার মুসলমানদের অনৈসলামিক রীতি এবং বিদেশি শাসনের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।

দেশে ফিরে ১৮২৭ সালে তিনি সাধারণ কৃষক ও তাঁতিদের মধ্যে বিপ্লবী চেতনা ছড়িয়ে দিতে কাজ শুরু করেন। তার প্রচার-প্রচারণার ফলে জমিদারদের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। জমিদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে তিনি ১৮৩১ সালের অক্টোবরে নারকেলবাড়িয়ায় বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন। বাঁশ ও মাটির সমন্বয়ে তৈরি এই দুর্গ ছিল প্রতিরক্ষা ও স্বাধীনতার প্রতীক।

১৮৩১ সালের ১৪ নভেম্বর ব্রিটিশরা গোলন্দাজ বাহিনী নিয়ে বাঁশের কেল্লায় আক্রমণ চালায়। অসীম সাহসিকতার সঙ্গে তিতুমীর ও তার অনুসারীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তবে শত্রুপক্ষের অত্যাধুনিক অস্ত্রের সামনে এই প্রতিরোধ টিকতে পারেনি। অবশেষে ১৯ নভেম্বর সংঘর্ষে তিতুমীরসহ তার বহু অনুগামী শহীদ হন।

তিতুমীরের আত্মত্যাগ ও সংগ্রাম আজও বাঙালির স্বাধীনতার ইতিহাসে গৌরবময় অধ্যায় হিসেবে চিরস্মরণীয়। তার জীবন কেবল একটি বিপ্লবের গল্প নয়, এটি নিপীড়িত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অনন্য অনুপ্রেরণা।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এবার ৬৫৪ কোটি টাকায় দুবাইয়ে বাড়ি কিনলেন নেইমার
৩ দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা তিতুমীরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণে আপত্তি নেই: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
কুবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি-সেক্রেটারির আত্মপ্রকাশ
কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি অযৌক্তিক: আইন উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ব্যাংক বন্ধ করবে না: অর্থ উপদেষ্টা
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করে অধ্যাদেশ জারি
বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদন ফি ২০০ টাকা
শেখ হাসিনা রাজনৈতিক দলগুলোর দুর্বলতার সুযোগে ফ্যাসিষ্ট হয়েছিলেন: মির্জা ফখরুল
ভারতে পালানোর সময় গাজীপুরের সাবেক প্যানেল মেয়র কিরণ আটক
বিদ্যুৎ নিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি পুনর্মূল্যায়নে কমিটি গঠনের নির্দেশ
আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস, প্রিয় পুরুষকে দিতে পারেন উপহার
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষ মুহূর্তের গোলে সুইজারল্যান্ডকে হারালো স্পেন
প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনের সড়কে সাদপন্থীদের অবস্থান
নবীনদের বরণ করে নিবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
তিতুমীর কলেজে জড়ো হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা, কঠোর অবস্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ
সংসদ সচিবালয় পরিচালনায় অতিরিক্ত ক্ষমতা পেলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হিজবুল্লাহ