নোবেল বিজয়ী নয়, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ইউনূসের বিচার হচ্ছে: আদালত
ছবি সংগৃহীত
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, আসামিপক্ষ এক নম্বর আসামির বিষয়ে প্রশংসা সূচক বক্তব্য উপস্থাপন করেন। যেখানে তাকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা নোবেল জয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু এই আদালত নোবেল জয়ী ইউনূসের বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে তার বিচার হচ্ছে।
সোমবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় ঘোষণা শুরু করেন। এর আগে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ড. ইউনূসসহ চার আসামি আদালতে হাজির হন।
ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে যে মামলায় রায় ঘোষণা করা হবে, তাতে একটি ধারায় শাস্তির বিধান সর্বোচ্চ ছয় মাস কারাদণ্ড ও জরিমানা ৫ হাজার টাকা। আরেকটি ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এখন দেখার পালা, কী দণ্ড দেওয়া হয়।
এদিকে রায় ঘিরে দুপক্ষের প্রত্যাশাই একইরকম, জিতবেন তারা। দুপক্ষেরই দাবি- মামলা প্রমাণ করতে পারেনি অপরপক্ষ। ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কোনোকিছুই প্রমাণ করতে পারেনি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। কাজেই সসম্মানে খালাস পাবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
যদিও কলকারখানা প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খানের দাবি, ড. ইউনূসের শ্রম আইন লঙ্ঘন প্রমাণিত। তারা সর্বোচ্চ সাজা চান।
এ মামলার অভিযোগের মধ্যে প্রধান হলো অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ না দেওয়া এবং ১০১ জন শ্রমিকের চাকরি স্থায়ী না করা। এছাড়া গণছুটি না দেওয়া, শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিল ও অংশগ্রহণ তহবিল গঠন না করাও অন্যতম অভিযোগ এ মামলার।