শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার মির্জা ফখরুল-আমীর খসরু

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে রাজধানীর পল্টন থানায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এ আদেশ দেন।

আদালতে পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর মামলাটিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুমিত কুমার। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আজ আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিকেল তিনটার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এই সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।

এই ঘটনার পর ওইদিন মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালীন সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলায় তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

Header Ad
Header Ad

হবিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

হবিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই পক্ষ। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের নোয়াগড় গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

সংঘর্ষে আহতদের পার্শ্ববর্তী বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর পাঁচজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিক আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ওই গ্রামের বিএনপি নেতা আক্তার মিয়ার সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান মিয়া ওরফে শাজাহান মেম্বারের লোকজনের বিরোধ চলে আসছিল।

মঙ্গলবার শাজাহান মেম্বারের পক্ষের একজনের পারিবারিক ঝগড়া থামাতে যান আক্তার মিয়ার পক্ষের একজন। এ সময় শাজাহান মেম্বারের লোকজন আক্তার মিয়ার পক্ষের ওই ব্যক্তিকে মারধর করেন। এ নিয়ে দুইদিন ধরে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

এরই জেরে শুক্রবার সকালে উভয়পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ।

আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি এ বি এম মাঈদুল হাছান বলেন, বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ময়ূখ রঞ্জনকে ‘গাধা’ বললেন অভিনেতা ঋত্বিক!

কলকাতার বিতর্কিত সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ (বামে) এবং টলিউডের অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত

কলকাতার বিতর্কিত সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ—যিনি একদিকে চিৎকার-চেঁচামেচিতে সংবাদ পরিবেশনার এক ভিন্ন উচ্চতা ছুঁয়েছেন, অন্যদিকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আজগুবি তথ্য ছড়িয়ে দুই বাংলায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন—এবার চমৎকার উপমায় 'গাধা' উপাধি পেলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীর কাছ থেকে!

শুক্রবার দুপুরে এক ব্যঙ্গাত্মক ফেসবুক পোস্টে ঋত্বিক লেখেন, “ধরুন একটা গাধার নাম দিলেন ময়ূর, আর পাশে বসালেন রঞ্জন। তাহলে পুরোটা হল ময়ূররঞ্জন!”
ব্যস! এই কথাটাই ভাইরালের বেলুনে হাওয়া দিয়ে ছেড়ে দিল ইন্টারনেট!

নেটিজেনরা তো হেসে লুটোপুটি! কেউ বলছেন, “এটাই বছরের সেরা স্যাটায়ার”, কেউ লিখেছেন, “গাধার এমন সুন্দর নামকরণ আগে শুনিনি!” আর ঋত্বিকের ফ্যানেরা তো একদম উচ্ছ্বসিত—কমেন্টে একের পর এক তালি!

এই পোস্ট যে সরাসরি ময়ূখকে উদ্দেশ করেই লেখা, তা বুঝতে বাকিদের বাকি না থাকলেও, অভিনেতা কিন্তু নামটা একবারের জন্যও লেখেননি! ব্যস, নাম না করেই নামের বারোটা বাজানো—এটাই তো আর্ট!

উল্লেখ্য, রিপাবলিক বাংলা চ্যানেলের সিনিয়র এডিটর ও ইনপুট হেড ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ নিজেকে সাংবাদিক বললেও, তার “নিউজ স্টাইল” অনেকটা নাটকীয় মলম বিক্রেতার মতো—লাফানো, চিৎকার করা আর মাঝে মাঝে উদ্ভট গল্প সাজানো!

শুধু বাংলাদেশ নয়, পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ দর্শকরাও তার আচরণে বীতশ্রদ্ধ। টালিউডেও তার সঙ্গে ওঠাবসার কারণে মাঝে মাঝে বিপাকে পড়েছেন অভিনেতা দেব ও রুক্মিণী মিত্র। নেটিজেনরা মজা করে বলছেন, “দেব আর থাকবে না দাদা, রুক্মি কাছে দেব থাকবে না!”

সব মিলিয়ে, ময়ূখকে নিয়ে এখন দুই বাংলাতেই টক অব দ্য টাউন—আর ঋত্বিকের পোস্ট তো যেন সেই আগুনে এক গাদা রঙ ঢেলে দিলেন!

Header Ad
Header Ad

পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ৫ দিনের রিমান্ডে

পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ৫ দিনের রিমান্ডে। ছবি: সংগৃহীত

প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলামকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব এ আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মাইন উদ্দিন, আদালতে মেহেরাজকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন জানানো হলে আদালত তা খারিজ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২৩ এপ্রিল গাইবান্ধা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

হত্যার শিকার পারভেজ ছিলেন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। গত ১৯ এপ্রিল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় ছিলেন তিনি। এ সময় পার্শ্ববর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া একটি ভুল বোঝাবুঝির জেরে বাকবিতণ্ডা হয় মেহেরাজ, পিয়াস ও মাহাথিরের সঙ্গে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসা হলেও, ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পরই গেটের সামনে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় পারভেজকে। সিসিটিভি ফুটেজে পুরো ঘটনার কিছু অংশ ধরা পড়ে।

এ ঘটনায় পারভেজের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মেহেরাজসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

এ মামলায় এখন পর্যন্ত কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আল কামাল শেখ, আলভী হোসেন জুনায়েদ ও আল আমিন সানি ৭ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। মাহাথির হাসান ও হৃদয় মিয়াজী ইতিমধ্যে আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হবিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
ময়ূখ রঞ্জনকে ‘গাধা’ বললেন অভিনেতা ঋত্বিক!
পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ৫ দিনের রিমান্ডে
ভারতীয় সেনার গুলিতে লস্করের শীর্ষ কমান্ডার আলতাফ লালি নিহত
ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা ‘সর্বাত্মক যুদ্ধে’ রূপ নিতে পারে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ
বাইক দুর্ঘটনায় প্রেমিক-প্রেমিকা নিহত
ঝিনাইদহে ট্রেন থেকে কোটি টাকার হেরোইন জব্দ
জাতিসংঘের দুটি আঞ্চলিক সংস্থায় নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ
অপরাধী আ.লীগ নেতাদের জামাই আদরে আদালতে হাজির করা হচ্ছে
জুমার নামাজের ফজিলত, গুরুত্ব ও হাদিস
ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি (ভিডিও)
এবার ভারতীয়দের সকল ভিসা স্থগিত করল পাকিস্তান
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের স্ত্রী জাহানারা আবেদিন মারা গেছেন
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের জামাতাকে অবসরে পাঠালো সরকার
পারভেজ হত্যার ঘটনায় সেই দুই নারী শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
আমাদের মধ্যে হিংসা নেই, আমরা আওয়ামী লীগ নই: রুমিন ফারহানা
পাকিস্তানে ঢুকে আটক বিএসএফ জওয়ান, দু’দেশের সীমান্তে ফের উত্তেজনা
টাঙ্গাইলে ফাঁকা গুলি ছু‌ড়ে ৭৮ লাখ টাকা ডাকাতি, গ্রেফতার ২
পাবনায় ইজিবাইক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ২ এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত