সাবেক সেনা কর্মকর্তা সারওয়ার্দী ৮ দিনের রিমান্ডে
সাবেক সেনা কর্মকর্তা সারওয়ার্দী ৮ দিনের রিমান্ডে: ছবি সংগৃহীত
মিথ্যা পরিচয়, বিশ্বাসভঙ্গ ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফীকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (০১ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন শুনানি শেষে রিমান্ডের এই আদেশ দেন। এ দিন সারওয়ার্দীকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপপরিদর্শক সুজানুর ইসলাম।
এছাড়া মামলাটিতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে দণ্ডবিধির ১২০ (খ) ধারা যুক্ত করার আবেদন জানান। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
সারওয়ার্দীকে সাভার থেকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। এই মামলায় গত ৩০ অক্টোবর মিয়া আরেফীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ মামলায় গত ২৯ অক্টোবর দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। আটকের পর তাকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ অক্টোবর হাসান সারওয়ার্দীকে সাভার থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। গত ৩০ অক্টোবর রাতে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ের সামনে ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেছেন, মিয়া আরেফি আমাদের জানিয়েছেন যে, বিএনপির অফিসে হাসান সারওয়ার্দী, বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট বেলাল ও ইশরাক হোসেন তাকে বাইডেনের উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তারা (বিএনপি) মিথ্যাভাবে আরেফিকে উপস্থাপন করেছেন। তারা বাসা থেকে আসার সময় শিখিয়েছেন যে, আপনি (আরেফি) বলবেন, র্যাবকে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে সহায়তা করেছি। এখন পুলিশ, আনসার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকেও এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। এই কথাগুলো বললে দেখবেন, বাংলাদেশের পুলিশ অফিসাররা ডিমোরালাইজড হবে এবং বাংলাদেশের মানুষও ডিমোরালাইজড হবে।