নানীর জিম্মায় ৭ বছরের কন্যা, ভরণপোষণ বাবার
মা হারানো পাবনার সাত বছর এক শিশুকে কন্যাকে নানীর জিম্মায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ওই শিশুকে বাবার জিম্মায় দেওয়া বিচারিক আদালতের আদেশ বাতিল করে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি কেএম ইমরুল কায়েশ এ রায় দেন। তবে নানীর জিম্মায় এ শিশু সাবালিকা হওয়া পর্যন্ত থাকবেন। আর ভরণপোষণ দিতে হবে বাবাকে।
নানী জাহানারা বেগমের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. আবদুল হাই সরকার। বাবা মো. ফজলে রাব্বীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. শহীদুল ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যার্টনি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
ওই শিশুর মা আইরিন পারভীন ২০১৯ সালের ১০ জুন মৃত্যু বরণ করেন। ৫ বছর বয়স থেকে সে খালা ও নানীর কাছে আদালতের আদেশ মোতাবেক থাকছিলেন। এর মধ্যে তার বাবা পুনরায় আদালতে রিভিশন আবেদন করলে পাবনার অতিরিক্ত ২য় দায়রা আদালত শিশুটিকে পিতার জিম্মায় দেন।
পরে নানী জাহানারা বেগম সেই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে কোয়াশমেন্ট (বিচারিক আদালতের রায় বাতিল চেয়ে) আবেদন করেন। হাইকোর্ট রুল জারিকে ও শিশুসহ বাবাকে এবং নানীকে আদালতে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেন।
সে অনুসারে বৃহস্পতিবার উভয়পক্ষ হাজির হন। এরপর আদালত শিশুর কাছে জানতে চান, সে কার কাছে থাকতে চায়। জবাবে শিশুটি নানীর কাছে থাকার কথা বলেন। এরপর আদালত বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে শিশুটিকে নানীর জিম্মায় দেন হাইকোর্ট। আর শিশুটি সাবালিকা না পর্যন্ত নানীর কাছে বড় হবে। বাবা বরণ পোষণ দিতে হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
কেএম/এমএমএ/