বিদেশে থেকেই আইনি লড়াই করতে চান তারেক
এবার বিদেশ থেকেই আইনি লড়াই করতে চান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার আইনজীবীর মাধ্যমে ঢাকার আদালতে এমন আবেদন করেছেন তিনি ও তার স্ত্রী।
রবিবার (৯ এপ্রিল) এ বিষয়ে শুনানি হবার কথা। তবে দুদক আইনজীবী বলছেন, পলাতক থাকায় এ সুযোগ নেই।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দার রহমানের অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল, গেল ২৯ মার্চ। সেদিন শুনানিতে অদ্ভুত এক আবেদন করেন, আসামিরা। দেশের বিচারিক ইতিহাসে যার নজির বিরল।
তারেক রহমানের পক্ষে তার আইনজীবী লিখিত আবেদনে বলেন, সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পলাতক ঘোষণার পরও আইনি লড়াই করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, এটি তাদের অবিচ্ছেদ্য আইনি অধিকার। আগামী ৯ এপ্রিল শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত।
তারেক রহমানের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, আমাদের সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদের অনুসারে এটা তাদের অবিচ্ছেদ্য অধিকার। এটা থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করার কোনো আইন দেশে নাই। যদি কোনো আইন তৈরিও করা হয় এবং সেই আইনের দ্বারা যদি তাদেরকে পলাতক বা অন্যকিছুও বলা হয় তারপরও তাদের এ অধিকার সংরক্ষিত হবে। এ অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা যাবে না।
২১ আগস্টসহ অন্য দুর্নীতির মামলায় কেন এই আইনি সহায়তা চাইলেন না তারেক রহমান? এমন প্রশ্নে তার আইনজীবী বলেন, এটা আগের আইনজীবীরা বলতে পারবেন। তবে, সংবিধান মতে এ সুযোগ পাবেন তিনি।
তারেক রহমানের এ আইনজীবী আরও বলেন, একেক সময় একেকজন আইনজীবী এই দায়িত্বটা পালন করেছেন। তাই একেকজনের উপলব্ধি একেক রকম। এটি আইনি অধিকার সংরক্ষণের সুযোগ চেয়েছি আদালতের কাছে। আমরা কোনো অন্যায় আবদার করিনি।
কিন্তু, দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলছেন, পলাতক কোনো ব্যক্তি আইনি লড়াই করতে পারেন না।
দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, যেখানে তিনি পলাতক হিসেবে ঘোষিত হয়েছেন সেখানে কীভাবে তিনি করবেন আমার তো মাথায় আসে না। এটা এক ধরনের পেশাগত অসদাচারণ যেটা আমরা বলি ‘প্রফেশনাল মিস কন্ডাক্ট’।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে, ২০০৭ সালে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। চার্জশিট ২০০৮ সালে দেয়া হলেও উচ্চ আদালতের আদেশে মামলাটি স্থগিত ছিল ২০২২ সাল পর্যন্ত। তবে, গেল বছরের এপ্রিলে উচ্চ আদালতের এক আদেশে বিচারের পথ খুলে যায়।
কেএম/এমএমএ/