ডিআইজি প্রিজন্স বজলুরকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট

কারা অধিদপ্তরের বরখাস্তকৃত ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদকে দুর্নীতির অভিযোগে পাঁচ বছরের সাজার মামলায় জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৫ এপ্রিল) বিচারপতি মো.আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে এ জামিন দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সিনিয়র অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হুমায়ূন কবির পল্লব।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আশেক মোমিন। গত ৩ নভেম্বর বজলুর রশীদের খালাস চেয়ে আনা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে তার জরিমানা স্থগিত করে নিম্ন আদালতের নথি তলব করেন। এ আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি জামিন চেয়ে আবেদন করেন। গত ২৭ নভেম্বর তার জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট।
গত ২৩ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন ওই রায় দেন। ৫ বছর দণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, রাষ্ট্রের অনুকূলে তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।
২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদক পরিচালক মো. ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।
২০২০ সালের ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০২০ সালের ২২ অক্টোবর মামলায় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগকারীসহ প্রসিকিউশনের ১৪ সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
মামলায় বলা হয়, বজলুর রশীদ রূপায়ন হাউজিং এস্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কিনেন। অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য বাবদ তিন কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধও করেছেন।
এ অ্যাপার্টমেন্ট কেনায় বজলুর রশীদ যে টাকা পরিশোধ করেছেন, এর সপক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।
এমনকি তিনি অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয় সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার আয়কর নথিতেও দেখাননি। পরিশোধিত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। কারা ক্যাডারের ১৯৯৩ ব্যাচের কর্মকর্তা বজলুর রশীদ ঢাকায় কারা সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেন।
কেএম/এমএমএ/
