আপিল বিভাগে পুলিশি হামলার বর্ণনা দিলেন খোকন-কাজল

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বুধবার (১৫ মার্চ) আইনজীবী ও সাংবাদিকদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন বিএনপির প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। এ ঘটনায় বিচার দাবি করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে এজলাসে আসন গ্রহণ করেন আপিল বিভাগের ৮ বিচারপতি।
বুধবার পুলিশের হামলা ও মামলার কথা তুলে ধরেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। পাশাপাশি আইনজীবীদের নিরাপত্তা চান তিনি।
এরপর প্রধান বিচারপতিকে সম্বোধন করে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘আমরা আপনার আদালতের আইনজীবী। আপনি আমাদের অভিভাবক। আমরা কী এমন অপরাধ করেছি? গতকাল পুলিশ আইনজীবীদের নির্যাতন করল। এ থেকে নারী আইনজীবীরাও রেহাই পাননি। আমি পুলিশকে বলেছি, আমি সম্পাদক প্রার্থী। তারপরও আমাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। বার ভবনে আমাদের কক্ষগুলো লক করে দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা আপনাদের কাছে এসেছি।‘
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আমি নিজেও পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আজও আমি ভালো করে হাঁটতে পারছি না। গতকাল মিলনায়তনের ভেতরে আইনজীবীদের পায়ের নিচে ফেলে নির্যাতন করেছে পুলিশ। সাংবাদিক ও নারী আইনজীবীদেরও লাঠিচার্জ করা হয়েছে।’
এসময় বিএনপির আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনারা কোর্ট অফিসার। আমরা আপনাদের সম্মান করি। এখন আদালতে মামলা শুনব। আপনারা দুইজন পরে আসুন কথা বলব। আপনাদের কথা শোনা হবে। প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেলকেও ডেকে আনব।
এদিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবারও বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নারী পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নসহ (এপিবিএন) পাঁচ শতাধিক পুলিশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মোতায়েন থাকবে। অন্যদিকে আইনজীবীদের মধ্যে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
কেএম/এসএন
