দুই বিমানকর্মীসহ ৪ জনের ১২ বছর কারাদণ্ড
বাংলাদেশ বিমানের দুই কর্মচারীসহ চার জনকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনাল। ঢাকা মহানগর আদালতের তিন নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিলকিছ আক্তার বুধবার (১২ জানুয়ারি) এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টার (বিএফসিসি) এর পেন্ট্রি ম্যান খন্দকার রুহুল আমিন ও শাহিনুর ইসলাম এবং স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সদস্য ইফতারুল আলম সরকার ও রিয়াজ ওরফে আমজাদ।
২০১৮ সালে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোয়া ৯ কেজি স্বর্ণ উদ্ধারের মামলায় আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌশুলি আবদুল্লাহ আবু জানান, রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও ছয় মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
রায় ঘোষণার আগে কারাগারে থাকা দুই আসামি রুহুল আমিন ও শাহিনুর ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়। অপর দুই আসামি ইফতারুল আলম সরকার ও রিয়াজ ওরফে আমজাদ জামিনে থেকে আদালতে হাজির হন। রায় ঘোষণা শেষে চার আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
রায়ে আদালত বলেন, ২০১৮ সালের ১৫ মার্চ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিমানের টয়লেট থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৯ কেজি ২৮০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করে ঢাকা কাস্টমস হাউজ। তখন এর বাজার মূল্য ছিল প্রায় চার কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ওই ঘটনায় বিমানের কর্মচারী রুহুল আমিন ও শাহিনুর ইসলামকে আটক করা হয়। পরে কাস্টম হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (প্রিভে.) এম এস রিমন আল-রাফি বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলাসূত্রে জানা যায়, রুহুল ও শাহিনুর দায়িত্বরত অবস্থায় বিমান বাংলাদেশের জেদ্দা-সিলেট হয়ে ঢাকাগামী বিজি২৩৬ এ ক্যাটারিংয়ের কাজের উদ্দেশ্যে বিমানের ভেতরে প্রবেশ করে।
টয়লেটের মধ্যে টিস্যু বক্সে রক্ষিত কালো স্কচটেপ মোড়ানো চারটি রোল থেকে তারা দুইটি করে জামার মধ্যে লুকিয়ে বিমান থেকে বের হয়ে খাবারের ট্রেতে লুকিয়ে রাখে। পরে কাস্টম কর্তৃপক্ষ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই স্বর্ণ উদ্ধার করে।
চারজনকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালের ৮ জুলাই অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মিজানুর রহমান।
এমএ/এএস