তারেক রহমানের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত আদেশে তারেক রহমান পলাতক থাকায় রিট গ্রহণযোগ্য নয় বলে রুল খারিজ করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার (২৬ জুন) এ রায় দেন।
আদালত গত ১৯ জুন এ বিষয়ে শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন (২৬ জুন) ধার্য করেন। আদালতে তারেক রহমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও কায়সার কামাল। কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
গত ৫ জুনের শুনানিতে কমিশনের আইনজীবী বলেছিলেন, তারেক রহমান তিন মামলায় দণ্ড মাথায় নিয়ে পলাতক আছেন। সুতরাং পলাতকদের পক্ষে আইনজীবী মামলায় লড়তে পারেন না।
ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এই মামলা দায়ের করে কমিশন।
এতে তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। একই বছরে জুবাইদা রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুল শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রায় দেন উচ্চ আদালত। রায়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দেন আদালত। একই সঙ্গে জুবাইদা রহমানকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন।
জুবাইদা রহমান ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন। চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল জুবাইদা রহমানের আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। ওই রায়ে জুবাইদা রহমানকে পলাতক বলে উল্লেখ করেন আপিল বিভাগ। ২০০৭ সালে একই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তারেক ও জুবাইদা পৃথক রিট আবেদন করেন। রিটে তারা জরুরি আইন ও এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন।
এমএ/এসএন
