সংবাদ নিয়ে অভিযোগ থাকলে আগে প্রেস কাউন্সিলে যেতে বললেন হাইকোর্ট

সংবাদের বিষয়ে অভিযোগ থাকলে আদালতের আগে প্রেস কাউন্সিলে যেতে বলেছেন উচ্চ আদালত। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (২১ জুন) এই কথা বলে।
তাছাড়া সাংবাদিকের কোনো সোর্স সম্পর্কে আদালত জানতে চায়নি বলেও উল্লেখ করা হয়।
গণপূর্তের সাবেক এক প্রধান প্রকৌশলীকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিবেদন নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে এসব কথা বলেন আদালত।
ওই প্রকৌশলী এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দেন আদালত।
আদালতে ইনকিলাবের প্রতিবেদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
প্রসঙ্গত ২০২১ সালের ২ মার্চ ‘২০ কোটিতে প্রকৌশলী আশরাফুলের দায়মুক্তি!’ শিরোনামে ইনকিলাবে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনা হলে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে দুদকের নথিপত্র তলব করেন উচ্চ আদালত। আদেশে ওই প্রতিবেদনের প্রতিবেদককে তার তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতার নির্দেশ দেওয়া হয়।
শুনানিতে দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ইনকিলাবের প্রতিবেদনকে ‘মাফিয়া জার্নালিজম’ বলে প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চান। আর ইনকিলাবের প্রতিবেদকের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সংবিধানে থাকা সাংবাদিকতা ও বাকস্বাধীনতার বিষয় এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় সোর্স প্রকাশ না করার নীতির কথা তুলে ধরেন।
এ সময় হাইকোর্ট বলে, এটি আদালত অবমাননার মামলা নয়। সাংবাদিকের কোনো সংবাদের বিষয়ে অভিযোগ থাকলে আগে প্রেস কাউন্সিলের শরণাপন্ন হতে পারেন। এছাড়া সাংবাদিকের সংবাদের সোর্স আমরা জানতে চাইনি।
শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করে। একই সঙ্গে গণপূর্তের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম ও তার স্ত্রীর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন নিয়ে অনুসন্ধানে আগের কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে নতুন কর্মকর্তার মাধ্যমে পুনরায় অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন।
এমএ/
