পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু: এসআই হাসানের জামিন, আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ

সিলেটে পুলিশ হেফাজতে রায়হান আহমদের (৩৫) মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি ও পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসান উদ্দিনের জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (১২ জুন) বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে সাময়িক বরখাস্ত এসআই হাসান উদ্দিনের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। তবে রাষ্ট্রপক্ষ এই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে বলে জানিয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি। আর আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল)।
জামিন আদেশের পর সুজিত চ্যাটার্জি সাংবাদিকদের জানান, আদালত হাসান উদ্দিনকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করবে।
উল্লেখ্য ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্যাতন করা হয়। পরে ১১ অক্টোবর রায়হানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রী মামলা করেন। এ ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে একই বছরের ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।
পরে পুলিশি হেফাজত থেকে কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রধান অভিযুক্ত আকবরকে ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২১ সালের ৫ মে এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পিবিআই। এতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়।
অন্যরা হলেন-সহকারী উপ-পরিদর্শক আশেক এলাহী, কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদ, টিটু চন্দ্র দাস, এসআই মো. হাসান উদ্দিন ও এসআই আকবরের আত্মীয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান। আসামি আবদুল্লাহ আল নোমান পলাতক রয়েছেন।
এমএ/এমএমএ/
