চাল মজুত/ স্কয়ারের অঞ্জন চৌধুরীর আগাম জামিন

স্কয়ার গ্রুপের অঞ্জন চৌধুরীকে ছয় সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এরমধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। পাঁচ হাজার ১২৪ টন চাল জব্দের ঘটনার মামলায় এই আগাম জামিন পেলেন তিনি। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি সাহেদ নুরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (৬ জুন) এই আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শফিক আহমেদ ও মাহবুব শফিক। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
গত ১ জুন দিনাজপুর সদরে স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের গুদামে অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ১২৪ টন আতপ চাল জব্দ করে প্রশাসন। এ ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে মিলের ইনচার্জকে।
দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মর্তুজা আল মঈদ বলেন, উপজেলার ১ নম্বর চেহেলগাজী ইউনিয়নের গোপালগঞ্জ বাজারে কোম্পানিটির ছয়টি গুদামে গত ৩১ মে বিকেল থেকে রাত আড়াইটা পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়।
এ সময় মিলের ছয়টি গুদামে ৫ হাজার ১২৪ টন আতপ চাল পাওয়া যায়। তবে মিলের অনুমোদন রয়েছে মাত্র ৩১২ টন। সে হিসেবে মিলে বেশি মজুত ছিল চার হাজার টনের বেশি চাল।
জানা গেছে, অভিযানকালে কাগজপত্র ও মিলে চাল মজুতের হিসাব চাওয়া হলে মিলের ইনচার্জ জায়েদ হোসেন সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে মিলের কর্মকর্তারা বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে আসেন। পরে রাত আড়াইটার দিকে মিলের ছয়টি গুদামে রাখা চাল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের জিম্মায় দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিংহ রায় বাদী হয়ে মিলের স্বত্বাধিকারী অঞ্জন চৌধুরী ও মিলের ইনচার্জ জায়েদের নামে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। মিলের ইনচার্জকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। এত পরিমাণ চাল জব্দ হওয়ায় এটির বিচার ভ্রাম্যমাণ আদালতে করা সম্ভব নয়। অভিযোগটি কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া মিলের ইনচার্জ জায়েদকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জব্দ চালের বাজার মূল্য প্রায় ৪১ কোটি টাকা।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযান চলাকালে ইনচার্জ জায়েদকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন। স্কয়ার কোম্পানিতে অবৈধভাবে চাল মজুতের ব্যাপারে একটি অভিযোগ এসেছে। তা আমরা মামলা হিসেবে নিয়েছি।
এমএ/
