পাটব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে কি না জানতে চান হাইকোর্ট

নিত্যপণ্যের প্যাকেজিংয়ে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে কি না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। দুই মাসের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পাট ও বস্ত্র সচিব, খাদ্যসচিব, আইনসচিব ও কৃষিসচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) চাল, ডাল, চিনিসহ ১৯টি নিত্যপণ্যের প্যাকেজিংয়ের বিষয়ে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল দেন।
রুলে পণ্যের প্যাকেজিংয়ে পাটের ব্যাগ ব্যবহার সংক্রান্ত ২০১০ সালের আইন বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সুমাইয়া আজিজ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
পরে সুমাইয়া আজিজ গণমাধ্যমকে বলেন, পাটের ব্যাগ ব্যবহার সংক্রান্ত ২০১০ সালের একটি আইন আছে। যেখানে সব পণ্যের প্যাকেজিংয়ে পাটজাত ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ১৯টি পণ্যের প্যাকেজিংয়ে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করার কথা বলা হয়। এর মধ্যে চাল, ডাল, চিনি এ রকম ১৯টি নিত্যপণ্য রয়েছে।
আইনজীবী বলেন, এসব পণ্য আমদানি, রপ্তানি, বিক্রয়সহ সব ক্ষেত্রে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। এ আইন অমান্য করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যের প্যাকেজিংয়ে পলিথিন জাতীয় ব্যাগ ব্যবহার করছেন। পলিথিন ব্যাগ একেবারেই পরিবেশবান্ধব নয়। এ কারণে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জুট মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে থেকে রিট করা হয়। রিট আবেদনে বলা হয়, পাটের ব্যাগ ব্যবহার সংক্রান্ত আইন যেহেতু বলবৎ আছে, এ মুহূর্ত থেকে যেন আইনের ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়।
এমএ/এমএমএ/
