৭ জুন পর্যন্ত ভারতের কারাগারে পি কে হালদার

অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকায় ভারতে গ্রেপ্তার প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালাদার) দুই দফায় ১৩ দিনের রিমান্ডের পর শুক্রবার (২৭ মে) প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালাদার) ভারতের আদালতে তোলা হয়। মামলার অগ্রগতি নিয়ে শুনানির পর আগামী ৭ জুন পর্যন্ত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের আদালত। প্রথম দফায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার (১৭ মে) পি কে হালদার ছাড়াও তার পরিবারের আরও ৫ সদস্যকে ভারতের আদালতে তোলা হয়। এসময় ভারতের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) মামলায় আসামিকে হেফাজতে নেয়ার পর মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন ভারতের আদালতকে। এছাড়া তিনি পি কে হালাদারের আবারও ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে ভারতের আদালত আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে এর আগে বুধবার (২৫ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১০ আসামিকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেয় আদালত। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৭ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে। এর আগে ২৭ মার্চ আদালত এ মামলার পলাতক দশ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আদেশ দেন আদালত। মামলায় আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা আটক রয়েছেন।
পি কে হালদার নামে-বেনামে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৬ হাজার ৭৯০ শতাংশ জমি কিনেছেন। এই সম্পদের বাজারমূল্য দেখানো হয়েছে ৩৯১ কোটি ৭৫ লাখ ৮১ হাজার ১২ টাকা। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী এই সম্পদের মূল্য ৯৩৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে নিজের নামে তিনি জমি কিনেছেন ৪ হাজার ১৭৪ শতাংশ। এর দাম দলিলে দেখানো হয়েছে ৬৭ কোটি ৯৪ লাখ ২০ হাজার ৯৩০ টাকা। অথচ এই সম্পদের বর্তমান মূল্য ২২৮ কোটি টাকা। এছাড়া ধানমন্ডিতে তার নামে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
প্রশান্ত তার নিকটাত্মীয় পূর্ণিমা রানী হালদারের নামে উত্তরায় একটি ভবন করেছেন। যার দাম ১২ কোটি টাকা। আর পূর্ণিমার ভাই উত্তম কুমার মিস্ত্রির নামে তেজগাঁও, তেজতুরী বাজার ও গ্রিন রোডে ১০৯ শতাংশ জমি কেনেন। যার বাজারমূল্য ২০০ কোটি টাকা। প্রশান্ত তার কাগুজে কোম্পানি ক্লিউইস্টোন ফুডসের নামে কক্সবাজারে ২ একর জমির ওপর আটতলা হোটেল (র্যাডিসন নামে পরিচিত) তৈরি করেছেন। যার আর্থিক মূল্য এখন ২৪০ কোটি টাকা। এছাড়া তার খালাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী এবং অনঙ্গ মোহন রায়ের নামে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ৪০৪ শতাংশ জমি কিনেছেন, এর দাম ১৬৭ কোটি টাকা।
এএজেড
