সুপ্রিম কোর্টে তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ চেয়ে রিট

সুপ্রিম কোর্টে তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ এবং তথ্য প্রদান ইউনিট চালু করতে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে তথ্য প্রদান ইউনিট চালু এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগে যথাযথ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে গত ১৬ মে রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর একটি আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
এতে ব্যর্থ হলে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হওয়ার বিষয়টি নোটিশে উল্লেখ করা হয়। এরপর কোনো প্রতিকার না পেয়ে এ রিট আবেদন দায়ের করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এ রিট আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারাবদ্ধ সচেতন নাগরিক হিসেবে তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণের নিমিত্তে বিধান করার লক্ষ্যে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ২০ নং আইন) প্রণয়ন করা হয়।
এই আইনের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধানে চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতা নাগরিকগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত এবং তথ্য প্রাপ্তির অধিকার চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
জনগণ প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা হলে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারি ও বিদেশি অর্থায়নে সৃষ্ট বা পরিচালিত বেসরকারি সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে, দুর্নীতি হ্রাস পাবে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
রিটে আরও বলা হয়, আইনের ধারা-৩ মতে অন্যান্য প্রচলিত আইনের বিধানাবলির ওপর উক্ত আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাবে। উক্ত আইনের ধারা-৪ মতে কর্তৃপক্ষের নিকট হতে প্রত্যেক নাগরিকের তথ্য লাভের অধিকার থাকবে এবং কোনো নাগরিকের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাকে তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে।
এই আইনের ধারা ২(খ) (অ) এ প্রদত্ত সংজ্ঞা অনুসারে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এ আইনের আওতাধীন একটি কর্তৃপক্ষ। উক্ত আইনের ধারা ১০ অনুযায়ী তথ্য সরবরাহের নিমিত্তে প্রত্যেক কর্তৃপক্ষ তথ্য প্রদান ইউনিটের জন্য একজন করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করবে।
আইনের বিধানের প্রতিপালনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আইন প্রণয়নের এক যুগেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে এমন কোনো কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়নি বলে রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আবেদনে আরও বলা হয়, এমতাবস্থায় নাগরিকের তথ্য লাভের অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর বিধান প্রতিপালনের নিমিত্তে অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে তথ্য প্রদান ইউনিট চালু এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা অত্যাবশ্যক।
এমএ/এমএমএ/
