আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল: যে শর্তে জামিন পেলেন নাজের

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খুলনার ডুমুরিয়ার নাজের আলী ফকিরকে (৬৮) জামিন দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তিনটি শর্তে তার এই জামিন মঞ্জুর করেছে ট্রাইব্যুনাল।
শর্তগুলো হচ্ছে, আসামিকে ঢাকায় ছেলে বা আত্মীয়ের বাসায় থাকতে হবে জামিনের সময়। সাক্ষীকে কোনো প্রকার হুমকি দিতে পারবেন না এবং গ্রামের বাড়িতে যেতে পারবেন না।
স্বাস্থ্যগত কারণে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বুধবার (২৫ মে) এই আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। তাকে সহযোগিতা করেন প্রসিকিউটর মোসফেকুর রহমান। আর আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
প্রসঙ্গত ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল খুলনার ডুমুরিয়া থানা ও ঢাকা থেকে নয়জনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে ডুমুরিয়া থেকে আব্দুর রহিম (৬৮), শামসুর রহমান (৭৫), জাহান আলী বিশ্বাস (৬৭), মো. শাজাহান (৬৮), করিম শেখ (৬৮), আবু বকর সরদার (৬৭ ) ও রওশন আলী গাজী (৭২) এবং রাজধানীতে গ্রেফতার হন নাজের আলী ফকির (৬৮) ও সোহরাব হোসেন সরদার (৬২)।
মামলাসূত্রে জানা গেছে, আসামিরা ১৯৭১ সালের ১৮ মে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া গ্রাম থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকা আনু মোল্লা ওরফে আজিজ শেখ, মজিদ বিশ্বাস, সাহেব আলী, শামসুল মোল্লা, ইমাম শেখ, আমজাদ সরদার, আব্দুল লতিফ মোড়ল ও কাওসার শেখসহ নয়জনকে ধরে নির্যাতন করতে করতে রানাই এলাকার বকুলতলায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদের গুলি করে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়। তবে তাদের মধ্যে থেকে একজন জীবন নিয়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন।
ওই ঘটনায় খর্নিয়া গ্রামের লিয়াকত আলী গাজী বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি ডুমুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা মিলেছে।
হত্যা মামলার তদন্তকালে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আরও চার-পাঁচটি অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
এমএ/এমএমএ/
