অর্ধলক্ষ শিক্ষকের টাইমস্কেল সংক্রান্ত আপিল খারিজ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধলক্ষ শিক্ষকের টাইমস্কেল সংক্রান্ত একটি আবদন খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২০১৩-২০১৪ সালে সারাদেশে সরকারি হওয়া (অধিগ্রহণকৃত) এই ৪৮ হাজার ৭২০ শিক্ষকের টাকা ফেরতের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে সোমবার (২৩ মে) আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রিটকারী শিক্ষকদের আইনজীবী মোকছেদুল ইসলাম বলেন, এই আদেশের ফলে শিক্ষকদের প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে যেতে হবে।
গত ১১ এপ্রিল চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের আদালতে এ বিষয়ে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানি হয়। গতকাল রবিবার (২২ মে) মামলাটি শুনানির জন্য তালিকার পেছনে থাকায় শুনানি হয়নি।
আইনজীবী মোকছেদুল এর আগে জানিয়েছিলেন, হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আমরা লিভ টু আপিল করেছিলাম। এ বিষয়ে শুনানির জন্য ২২ মে দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। ওইদিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ মামলার শুনানি করবেন।
২০২১ সালের ১ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শিক্ষকদের করা রিট আবেদনটি খারিজ করে দেয়। ফলে ২০১৩-২০১৪ সালে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইমস্কেলের সুবিধা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র টিকে যায়। গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইমস্কেলের সুবিধা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র নিয়ে ওই রুল জারি করে হাইকোর্ট। সে রুলের শুনানি শেষ হয় গত ২৮ মার্চ।
মোকছেদুল ইসলাম বলেন, এর আগে বেসরকারি থেকে সরকারি হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টাইমস্কেল সুবিধা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সংক্ষুব্ধ শিক্ষকরা রিট করেন। তখন হাইকোর্ট বিভাগ পরিপত্র স্থগিত করে রুল জারি করে। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। একপর্যায়ে ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।
পরে স্থগিতাদেশ তুলে দিতে শিক্ষকরা আপিল বিভাগে আবেদন করেন। এরপর চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তিন সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে রিট মামলাটি নিষ্পত্তি করতে বলেন। এর ধারাবাহিকতায় গত ১ মার্চ আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে রায় ঘোষণা করে হাইকোর্ট।
এমএ/
