নিপুণ আদালতের আদেশ অমান্য করে চলছেন: জায়েদ খান

চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেছেন, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থা থাকার পরও নিপুণ আদালতের আদেশ অমান্য করে চলছেন। আমি সর্ব্বোচ আদালতের আদেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এ কারণে জোর করে চেয়ার দখলের কোনো ইচ্ছে নেই।
সুপ্রিম কোর্ট থেকে বের হয়ে সোমবার (২৩ মে) সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।
জায়েদ খান বলেন, মানুষ জানে আমি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি। অথচ নির্লজ্জের মতো দখল করে চেয়ারে বসে আছেন নিপুণ।
প্রসঙ্গত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে আপিল শুনানির দিন পিছিয়ে আগামী ৫ জুন ধার্য করেছেন। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করে সোমবার আদেশ দেন।
আদালতে নিপুণের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ। জায়েদ খানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করিম ও নাহিদ সুলতানা যুথি।
গত ১৩ মার্চ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে চেম্বার আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ নিপুণ আক্তার ও জায়েদ খানকে কঠোরভাবে পালন করতে আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
এর আগে ৮ মার্চ সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থার আদেশের পরেও সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসার অভিযোগ এনে নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেন জায়েদ খান। সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। আদেশে সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করা হয়।
গত ৩ মার্চ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন নিপুণ আক্তার।
এর আগে সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে হাইকোর্ট রায় দেন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচনী আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। তা ছাড়া এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চিঠির কার্যকারিতাও স্থগিত করা হয়। একই সঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। চিত্রনায়ক জায়েদ খানের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ রায় দেন।
এমএ/এসএন
