সিনহার বিরুদ্ধে বেহুদা অভিযোগ: হুদার মামলায় সাক্ষ্য ৯ জুন

সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এক মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৯ জুন দিন ধার্য করেছে আদালত। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির বেহুদা অভিযোগ করায় পালটা এই মামলা করে কমিশন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মঙ্গলবার (১৭ মে) মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল।
কমিশনের পক্ষে আদালতে মামলার সাক্ষী উপস্থাপন করা হয়। নাজমুল হুদার আইনজীবী সাক্ষ্য গ্রহণ পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৯ জুন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন। কমিশনের আইনজীবী এম এ সালাউদ্দিন ইস্কান্দার কিং এই তথ্য জানান।
উল্লেখ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিজের বিরুদ্ধে নিষ্পত্তি হওয়া একটি মামলার রায় বদলে দেওয়া হয়েছে ও উৎকোচ চাওয়া হয়েছে- এস কে সিনহার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় মামলা করেন নাজমুল হুদা। দেড় বছরের তদন্তে নাজমুল হুদার অভিযোগের কোনো প্রমাণ পায়নি কমিশন।
২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মিথ্যা অভিযোগ করায় নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। আরেক পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মেদকে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। মামলার বিষয়ে তৎকালীন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেছিলেন, নাজমুল হুদা যে মামলাটি করেছেন সেটি একেবারেই ভিত্তিহীন। দুদকের অনুসন্ধানেও আমরা সেটার প্রমাণ পেয়েছি। দুদক আইনের ২৮ এর ২ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন আর সেটি যদি তদন্তে বেরিয়ে আসে তাহলে অভিযোগ দায়েরকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে।
২০২১ সালের ৭ অক্টোবর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন। এরপর ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মেদ। ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এমএ/এএজেড
