ব্যবসায়ী-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ: ঢাকা কলেজের ইশান কারাগারে

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাজধানীর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের সংঘর্ষের ঘটনার মামলায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান ইশানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা এই আদেশ দেন। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা এই মামলায় রবিবার (১৫ মে) এই আদেশ দেন আদালত।
রিমান্ড শেষে এদিন ইশানকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষে না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ আদেশ দেন।
তিনদিনের রিমান্ড শেষে গত শুক্রবার (১৩ মে) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ইশানকে ফের পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য গত ১৮ এপ্রিল দিনগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও পরদিন মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এ সংঘর্ষে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাহিদ হাসান ও মুরসালিন মারা যান।
গত ২০ এপ্রিল নিহত নাহিদের বাবা মো. নাদিম হোসেন বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় তিনি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করেন। এ মামলায় ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গত ২৮ এপ্রিল আদালত পাঁচজনের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।
এদিকে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি নেতা মকবুল হোসেনকে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন (২৩ এপ্রিল) এ মামলায় আসামি মকবুলের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-আমির হোসেন আলমগীর, মিজান, টিপু, হাজি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু, হারুন হাওলাদার, শাহ আলম শন্টু, শহিদুল ইসলাম শহিদ, জাপানি ফারুক, মিজান বেপারী, আসিফ, রহমত, সুমন, জসিম, বিল্লাল, হারুন, তোহা, মনির, বাচ্চু, জুলহাস, মিঠু, মিন্টু ও বাবুল।
এমএ/এমএমএ/
