ক্যাসিনো আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন

ক্যাসিনা সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত আসামি মো. এনামুল হকের (আরমান) বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রবিবার (৯ মে) কমিশন থেকে পাঠানো এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিশনের তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফ সাদিকের পাঠানো এই বার্তায় বলা হয়,
‘ক্যাসিনো সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত আসামি মো. এনামুল হক (আরমান) কর্তৃক বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় জ্ঞাত আয়ের সহিত অসংগতিপূর্ণ ১২ কোটি ৪২ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৮ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখল করার অপরাধ এবং বর্ণিত অবৈধ অর্জিত অর্থের মধ্যে ৬ কোটি ৫৬ লাখ ২৫ হাজার ৩৭৯ টাকা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় অর্জন করত: তা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে সিঙ্গাপুরে নিয়ে ব্যয় করে অর্থপাচার করার অপরাধ প্রাথমিক তদন্তে
প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২), ৪(৩) ধারায় আদালতে বিচারার্থে অভিযোগপত্র দাখিলের সুপারিশ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন (সাক্ষ্য-স্মারক) দাখিল করেন। দাখিল করা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কমিশন মামলায় উল্লিখিত আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেয়।’
উল্লেখ্য, আরমান গত নব্বইয়ের দশকে বিদেশ থেকে ‘লাগেজ পার্টির’ আনা ইলেকট্রনিক পণ্য বায়তুল মোকাররম এলাকার দোকানে দোকানে বিক্রি করতেন। এক পর্যায়ে নিজেই লাগেজ পার্টির কারবারে যুক্ত হন। ২০১৩ সালে যুবলীগের পদ পেয়ে অল্প সময়ে গড়ে তুলেছেন বিত্তবৈভব। জুয়া-ক্যাসিনোর টাকায় নেমেছেন সিনেমা প্রযোজনায়ও।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি হন এনামুল হক ওরফে আরমান। তিনি ঢাকার অপরাধজগতের অন্যতম নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিত ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের অন্যতম সহযোগী।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মতিঝিলের ক্লাবপাড়ার ক্যাসিনোতে অভিযান শুরু হলেই আলোচনায় আসেন আরমান। পরে সম্রাটের সঙ্গে আরমানকেও গ্রেপ্তার করে র্যাব। অবশ্য গ্রেপ্তারের পর যুবলীগ থেকে আরমানকে বহিষ্কার করা হয়।
এমএ/এমএমএ/
