অর্থপাচার: এনএসইউ’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ৫ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যানসহ ৫ সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থপাচার (মানি লন্ডারিং) আইনে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কেনা জমির বাড়তি দাম দেখিয়ে ৩০০ কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগ এনে এই মামলা করে কমিশন।
একই অভিযোগে একটি আবাসন সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধেও মামলা করেছে সংস্থাটি। কমিশনের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার এই মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়-বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় অর্থাৎ সরকারের অনুমোদনকে পাশ কাটিয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের কতিপয় সদস্যের অনুমোদনের মাধ্যমে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস ডেভেলপমেন্টের নামে ৯০৯৬.৮৮ ডেসিমেল জমির ক্রয়মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা অতিরিক্ত অর্থ অপরাধজনকভাবে প্রদান/গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি বেশি দাম দেখিয়ে প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করেন (অভিযুক্তরা), পরবর্তীতে বিক্রেতার নিকট থেকে নিজেদের লোকের মাধ্যমে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন এবং পরবর্তীতে আবার নিজেরা উক্ত এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাত করেন।
এতে আরও বলা হয়, অবৈধ অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য উক্ত অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন (অভিযুক্তরা)।
মামলার অভিযুক্ত আসামিরা হলেন-এনএসইউ'র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান ও মোহাম্মদ শাজাহান এবং বেসরকারি আবাসন সংস্থা আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।
এমএ/এমএমএ/
