শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সুপ্রিম কোর্ট বারের ফলাফল: প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ কামনা বিএনপির

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। আগামী ৫ মে’র মধ্যে প্রধান বিচারপতিকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনের নেতারা। এছাড়া ভোট ফ্রেশকাউন্টিং ও ফলাফল ঘোষণার বিষয়ে হাইকোর্টের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে অনুসন্ধানের দাবিও করেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে অবস্থিত ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ সময় তারা বারের সম্মেলন কক্ষের তালা ভেঙে ভোট ফ্রেশকাউন্টিং করে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত প্রার্থী আব্দুন নূর দুলালকে সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণার প্রতিবাদ জানান।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিএনপি নেতা এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফলাফল ঘোষণার সময় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যে অনভিপ্রেত আচরণ করা হয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য লঙ্ঘন করে নজিরবিহীনভাবে সন্ত্রাসী এবং অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর ফলে বারের ৭৫ বছরের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে কলঙ্কিত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

অবিলম্বে সাংবিধানিকভাবে গঠিত নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করে এ অচলাবস্থা নিরসনের দাবিও জানান এ জে মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, আব্দুন নূর দুলালের অবৈধ প্রক্রিয়ায় সেক্রেটারির রুম দখলকে প্রত্যাখ্যান করছি। দলমত নির্বিশেষ সব আইনজীবীকে এর রিরুদ্ধে স্বোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সম্মেলনে বিএনপি নেতা জয়নুল আবেদীন বলেন, তালা ভেঙে ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনার বিষয়ে দেশের উচ্চ আদালত থেকে সুয়োমোটো রুল জারি করা উচিত ছিল। এছাড়া ভোট গণনার ও ফলাফল ঘোষণার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করছি। আগামী ৫ মে’র মধ্যে প্রধান বিচারপতিকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। তা না হলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান।

সম্মেলনে বিএনপি নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন একজন বিচারপতিকে দিয়ে এ ঘটনা তদন্তের দাবি জানান। এছাড়া এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধান বিচারপতির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব মো. ফজলুর রহমান, বারের সাবেক সম্পাদক বদরুদ্দোজা বাদল, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, বারের সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বুধবার (২৭ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের তৃতীয় তলায় সম্মেলন কক্ষে ফ্রেশকাউন্টিং করার পর আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের প্রার্থী আব্দুন নূর দুলালকে বিজীয় ঘোষণা করা হয়। এর প্রতিবাদ জানান বিএনপিপন্থী আইনাজীবীরা।

সমিতির নির্বাচনে গত ১৫ ও ১৬ মার্চ ভোটগ্রহণ হয়। আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে সাত আইনজীবীর নির্বাচন উপ-কমিটি ভোটগ্রহণ করে। এর একদিন পর ১৭ মার্চ ভোট গণনা করে রাতে ফলাফল ঘোষণার সময় আওয়ামীপন্থী আইনজীবী প্যানেল পক্ষের সম্পাদক প্রার্থী ভোট ফ্রেশকাউন্টিংয়ের দাবি করে লিখিত আবেদন জানালে তখন ফল ঘোষণা আটকে যায়। ওই রাতে ফলাফল ঘোষণা না করে মশিউজ্জামন সমিতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

পরে গত মঙ্গলবার ল’ রিপোর্টার্স ফোরামে এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি অজি উল্লাহ জানান, গত ১২ এপ্রিল সমিতির কার্যকরী কমিটির মেয়াদের শেষ এক সভায় তাকে আহ্বায়ক করে সাত আইনজীবীর সমন্বয়ে একটি নির্বাচন উপ কমিটি করা হয়েছে।

মো. অজি উল্লাহ নেতৃত্বে বুধবার (২৭ এপ্রিল) রাতে সম্পাদক পদের ভোট ফ্রেশকাউন্টিং ও ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

অ্যাডভোকেট মো. অজি উল্লাহ এ ফলাফল ঘোষণা করেন। ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি-সম্পাদকসহ ৭টি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। আর দুই সহ-সম্পাদকসহ ৭টি পদে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগের আব্দুন নূর দুলাল পেয়েছেন দুই হাজার ৮৯১ ভোট। আর বিএনপির রুহুল কুদ্দুস কাজল পেয়েছেন দুই হাজার ৮৪৬ ভোট।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল থেকে সভাপতি পদে আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সহ-সভাপতি পদে মো. শহীদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হোসেন, সদস্য পদে ফাতেমা বেগম, সাহাদত হোসাইন রাজিব ও সুব্রত কুমার কুন্ডুকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

আর বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে সহ-সম্পাদক পদে মাহফুজ বিন ইউসুফ ও মাহবুবুর রহমান খান, ট্রেজারার মোহাম্মদ কামাল হোসেন, সদস্য মাহদীন চৌধুরী, গোলাম আক্তার জাকির, মো. মনজুরুল আলম সুজন ও কামরুল ইসলামকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে বুধবার বিকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের সম্পাদক পদের ফলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে তুমুল হট্টগোল, হাতাহাতি ও সম্মেলন কক্ষের জানালার কাঁচ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পাল্টাপাল্টি অবস্থান, মিছিল-স্লোগানে উত্তপ্ত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এমএ/আরএ/

Header Ad

বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপির কাঁধে এখন অনেক দ্বায়িত্ব। এদেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা, আকাঙ্ক্ষা বিএনপি কে নিয়ে।  সুতারাং দেশের মানুষের আকাঙ্খা অনুযায়ী নেতা-কর্মীদের আচরন করতে হবে। তৈরী হতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন,  অন্তবর্তী সরকারকে বুঝতে হবে জনগন কি চায়। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সব সংস্কার অন্তবর্তী সরকারের দ্বারা সম্ভব নয়। তারা একটি অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচনের আয়োজন করে জনগণের সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। তারপর নির্বাচিত সরকার বাকী সংস্কার করবে।

এ সময় দ্রুত নির্বাচনের দেয়ার  দাবী জানান তারেক রহমান। 

বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিন পর বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা এবং আনন্দ মুখর পরিবেশে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বেলা সাড়ে ১০ টার সময় স্থানীয় টাউন ফুটবল মাঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্মেলনের উদ্বোধন করতে যেয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এদেশে ফ্যাসিবাদের জনক শেখ মুজিবুর রহমান। তার হাত ধরেই অর্থাৎ তার নেতৃত্বেই এদেশে হত্যা, লুণ্ঠন, এবং অপরাজনীতি শুরু হয়। যুদ্ধ বিধ্বস্ত নতুন বাংলাদেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বদলে গনতন্ত্র হত্যা করে সকল দলকে নিষিদ্ধ করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে একটি রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির সৃষ্টি করে মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে একটি বদ্ধ কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল।

এসময় তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবের উত্তরসূরী ফ্যাসিবাদের চুড়ান্ত বাস্তবায়নকারী শেখ হাসিনা গত ১৭ বছর এদেশের জনগণের ঘাড়ে অবৈধভাবে চেপে বসে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে অবরুদ্ধ করে অসংখ্য খুন গুম ব্যাংক লুট এবং অনিয়ম দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করছিল। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে বাংলাদেশকে দেউলিয়া এবং চরম দারিদ্র্যের শেষ সীমায় পৌঁছে দিয়ে গেছে।

মির্জা ফখরুল দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দাবি করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, দেশকে দেশি ও বিদেশি চক্রান্তের মোকাবেলা করে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। আর এটা করতে হলে অবিলম্বে দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দরকার।

শুরুতে সম্মেলনের উদ্বোধক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পবিত্র কোরআন ও গীতা পাঠ করা হয়। এরপরে সম্মেলনের উদ্বোধক সহ আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। বিগত দিনে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন জেলা বিএনপি নেতা ওয়াহেদুজ্জামান বুলা। সম্মেলনে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু, এড.নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা বিভাগীয় সহ সভাপতি বাবু জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ মাসুদ অরুন, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মজিদ, সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহজাহান খান, সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিথা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবু তালহা, জেলা জাসাসের সভাপতি সেলিমুল হাবিব, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক তবারক হোসেন, জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রউফুন নাহার রিনা, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম, জেলা বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম মনি, দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খাঁন খোকন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রোকন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপ্টন, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিলিমা ইসলাম বিশ্বাস মিলি, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু প্রমুখ।

সম্মেলনের একপর্যায়ে জেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা যারা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের হাতে তারেক রহমানের পক্ষে উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়। 

সম্মেলনে একমাত্র প্রার্থী হিসাবে আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু ইতিমধ্যেই চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় আজকের সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে ৮০৮ জন কাউন্সিলর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

Header Ad

'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচনি সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‌'স্থানীয় নির্বাচন করার ফলে আমাদের কমিশনের সক্ষমতা বাড়বে। টেস্ট হয়ে যাবে। এছাড়া জাতীয় নির্বাচনের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে যে সাপোর্ট দরকার হবে, তাও নিশ্চিত হয়ে যাবে।'

শনিবার (২৩ নভেম্বর) ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচনি সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ।

এ সময় তিনি বলেন, নাগরিক সমাজের অভিমত হচ্ছে স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে হওয়া উচিত। কারণ, স্থানীয় নির্বাচন করার ফলে আমাদের কমিশনের সক্ষমতা বাড়বে। টেস্ট হয়ে যাবে। এছাড়া জাতীয় নির্বাচনের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে যে সাপোর্ট দরকার হবে, তাও নিশ্চিত হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, স্থানীয় নির্বাচনের আগে যদি জাতীয় নির্বাচনে যাই, তাহলে যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে তা ঝুলে যাবে। কারণ এখন আমাদের যে চিন্তা-ভাবনা, স্থানীয় নির্বাচন যেটা আছে সেটা কোনো সিস্টেম না। আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠান, আলাদা আলাদা আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। কোনো কমপ্রিহেন্সিভ সিস্টেম নাই। এই সংস্কারের বড় কাজ হবে একটা সিস্টেম ডেভেলপ করে দেওয়া। এখন সিস্টেম কী হবে? যে সিস্টেম আছে সেটা আইয়ুব খানের ভাবনায় রেখে করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের ১০ বছর পরে উপজেলা, তার ১০ বছর পর উপজেলা পরিষদ হয়েছে। এতে কম্প্রিহেন্সিভ কিছু হয়নি। এই সিস্টেম করার জন্য এখন মোক্ষম সময়। কেননা, বেশিরভাগ স্থানীয় সরকার কিন্তু নেই। কেবল ইউপি আছে। কাজেই ছবি আঁকার এটাই সময়। আমরা যদি সিস্টেম করতে পারি যে, একটা কম্প্রিহেন্সিভ আইন হবে। সেই আইনের মধ্যে সব প্রতিষ্ঠান চলে আসবে। এতে একটা তফসিল দিয়ে সবগুলো নির্বাচন করতে পারব।

ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, কমিশন যে সংস্কার করতে চাচ্ছে, তাতে স্থানীয় সরকারের পাঁচ স্তরের নির্বাচন ব্যয় অনেক কমে আসবে। বাঁচবে সময়। অপেক্ষাকৃত অনেক কম জনবল লাগবে।

তিনি আরও বলেন, হিসাব করে দেখেছি, গত কমিশন যে স্থানীয় নির্বাচন করেছে এতে ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ১৯ থেকে ২০ লাখ লোক লেগেছে। ২২৫ দিনের মতো সময় লেগেছে। তাই স্থানীয় নির্বাচনে যদি পার্লামেন্টারি সিস্টেম নিয়ে আসি। তাহলে ইউনিয়ন, পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনে একই সিস্টেম করতে পারব। তাহলে খরচ চলে আসবে ৬০০ কোটি টাকার মধ্যে। লোক লাগবে আট লাখ। সময় লাগবে ৪৫ দিন। তাহলে এই সিস্টেমে যাওয়ার জন্য অধ্যাদেশ করে যদি যান তাহলে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনে যাওয়া সম্ভব। বর্তমানে যা আছে তা দিয়ে যদি স্থানীয় নির্বাচন করতে চান, তাহলে পাঁচটা আইন দিয়ে পাঁচটা নির্বাচন করতে হবে। এতে জাতীয় নির্বাচনের আগে তা করা সম্ভব কি-না, তা নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, পার্লামেন্টের যে মেম্বার তিনি স্থানীয় কোনো দায়িত্বের মধ্যে পড়েন না। তার কাজ হচ্ছে সরকারি কাজগুলো জবাবদিহিতার মধ্যে আনা। উনি যদি সমস্ত উন্নয়ন করেন তাহলে তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট হলো। তিনি জবাবদিহিতা করাবেন কাকে। সুতরাং সংবিধান অনুযায়ী এমপিরা এটা পারে।

Header Ad

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে শিল্প খাতে জ্বালানি সংকট নিয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। চলতি সপ্তাহে ৪০টি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের দরপত্র দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, পাবলিক সেক্টরে প্রতিযোগিতার অভাব রয়েছে। টিকে থাকতে হলে ঘুষ বাণিজ্য থেকে বের হতে হবে। সরকারি ক্রয়কে প্রতিযোগিতার মধ্যে আনার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারের সঙ্গে সখ্য করে আর ব্যবসা হবে না। ভালো ব্যবসায়ীদের জন্যই উপযোগিতা তৈরি করা হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু