দুর্নীতি: বদির বিরুদ্ধে মামলা চলবে
কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি মামলার অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে আবেদন করেছিলেন তিনি। তার ওই আবেদনের উপর শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২২ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এই সময়ের মধ্যে আব্দুর রহমান বদির মামলার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে দেওয়া আদেশের কপি এফিডেবিট আকারে দাখিলের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদেশে এই মামলায় বিচারিক (নিম্ন) আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ অব্যাহত রাখার নির্দেশও দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) এ আদেশ দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত প্রায় ১৪ বছর আগে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি করা হয় বদির বিরুদ্ধে।
আইনজীবী এ কে এম আমিন উদ্দিন বৃহস্পতিবারের আদেশ প্রসঙ্গে জানান, ২০০৭ সালের সম্পদের তথ্য গোপন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির করা আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। আবেদনের উপর আদালত আদেশ দেবেন ২২ মে।
আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। বদির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রফিকুল ইসলাম সোহেল। আর কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর সাবেক এমপি বদির পক্ষে প্রথমে অভিযোগ গঠন বাতিলের আবেদন করেন আইনজীবী এ আর হাসানুজ্জামান। পরে সম্পূরক আবেদন করেন শামসুর রহমান। সেসময় দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান জানান, গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে।
৫৬ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ গোপন ও ৭৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর দুদক চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বদির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর ২০১৭ সালে এ মামলার কার্যক্রম সচল হয়।
মামলায় ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তার অব্যাহতির আবেদন নাকচ ও অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন চট্টগ্রামের বিচারিক আদালত। ওই আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন করেন বদি।
এমএ/আরএ/